আজকাল ওয়েবডেস্ক: চারদিকে সানাইয়ের সুর। আলোর রোশনাই। একেবারে পরিপাটি বাঙালিয়ানায় প্রস্তুত বিয়ের আসর। ফুলের মালায় সজ্জিত অন্দরসজ্জা ও মণ্ডপ। কুঁদঘাটে জমজমাট বিয়ের অনুষ্ঠান। আয়োজনে ‘আমরা সবাই’। এই বিবাহ আসরে পাত্র গণেশ। মাথায় টোপর, পরনে জরির পাড়ের ধুতি আর জমকালো পাঞ্জাবিতে অপরূপ সুন্দর বরবেশি বিনায়ক। পাত্র কে? এখনও চিনতে পারছেন না। এই বিবাহ আসরের পাত্র গণপতি। গণেশ ঠাকুর।
দুর্গাপুজোর মতো কলকাতার গণেশ পুজোতেও লেগেছে থিমের ছোঁয়া। গণেশ চতুর্থীতে গণেশ পুজোর মণ্ডপ তৈরি হয়েছে শৈল্পিক ভাবনায়। সেই পথে হেঁটে পুজোর আয়োজন করে চলেছে কুঁদঘাটের আমরা সবাই পুজো কমিটি। এবারও তার অন্যথা হয়নি। চলতি বছরে সপ্তম বর্ষে পদাপর্ণ করল এই পুজো। এবছর আমরা সবাই পুজো কমিটির থিম শুভ বিবাহ। বিয়ের মণ্ডপের আদলেই তৈরি হয়েছে পুজো মণ্ডপ। মণ্ডপ ও তার সংলগ্ন চত্বর সাজানো হয়েছে বাহারি ফুলে। রয়েছে চোখ ধাঁধানো আলো। মণ্ডপ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
প্যান্ডেলের থেকেও দর্শনার্থীদের বেশি আকর্ষণ করেছে গণপতি বাপ্পার সাজ। এখানে জামাই সাজে গণেশ অপরূপ সুন্দর। মণ্ডপের থিমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাজসজ্জা করেছেন পুজো উদ্যোক্তা ও ভলান্টিয়াররা। লাল পেড়ে সাদা শাড়িতে পুজোর তত্বাবধান করছেন মহিলারা। বিগত বছরগুলিতেও আমরা সবাই পুজো কমিটির পুজো মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। সমাদৃত হয়েছে তাদের থিম-ভাবনা। প্রশংসিত হয়েছে প্রতিমার সাজ। এবারের পুজো ঘিরেও উন্মাদনা রয়েছে। পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এই গণেশপুজো নিয়ে আগ্রহী এলাকাবাসীও।
গণেশপুজো উপলক্ষে নানা ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে পুজো কমিটি। রয়েছে ভোগ বিতরণের ব্যবস্থাও। শহরে দুর্গাপুজোর ব্যস্ততাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেয় কলকাতার গণেশ চতুর্থীর বিনায়ক আরাধনা। আর দিন কয়েক পরেই মহালয়া। তারপরেই দেবীর বোধন। সেইসময় দুর্গার সঙ্গে পুজিত হবেন গণেশ। তবে তার আগে এই গণেশ চতুর্থীতে সিদ্ধিদাতার মর্ত্যে আগমন। আর সেইসঙ্গে বিঘ্নহর্তাকে নিয়ে শহর কলকাতায় উৎসবের আমেজ।
