আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠকের পর অবশেষে মিলল সমাধানসূত্র। অনশন তুলে নিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিন নবান্নে বৈঠকের শেষে ধর্মতলায় অনশন মঞ্চে এসে জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার জানান, 'মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্তে আসা গেছে।
মার্চ মাসে মেডিক্যাল কলেজে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এটা আমাদের জয়। নির্যাতিতার বাবা মা অনশন মঞ্চে এসেছিলেন। ওনারাও চান না আমাদের সহযোদ্ধাদের কোনও ক্ষতি হোক। সে কারণে এই অনশন আমরা তুলে নিচ্ছি। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আমরা স্বাস্থ্য ধর্মঘটের কর্মসূচিও প্রত্যাহার করলাম।'
দশ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি ছিল, সরকার তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বৈঠকে বসার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতই সোমবার অনশনের ১৭ দিনের মাথায় নবান্নে বৈঠক হয় দুই পক্ষের। প্রায় দু’ঘণ্টার ওপরে এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের দাবিদাওয়া শোনেন। গোটা বৈঠকই লাইভ স্ট্রিমিং করা হয় চিকিৎসকদের দাবি মেনে।
সরকারের পক্ষে মুখ্যসচিব জানান নির্বাচন থেকে শুরু করে রাজ্য টাস্ক ফোর্স, কলেজ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্স, প্রতিটি কলেজে আইসিসি এবং গ্রিভান্স সেল তৈরির ব্যাপারে রাজ্য সরকারের স্বদিচ্ছা এবং তৎপরতার বিষয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের ওয়াকিবহাল করান মুখ্যসচিব। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণের প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যদি নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকে তবেই তদন্ত করা হবে।
এদিন সেই মত অভিযোগ লিখে নিয়ে গিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর নবান্ন থেকে বেরিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন চিকিৎসকরা। এরপরেই অনশন তোলার সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
