আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২১-এর বঙ্গের বিধানসভা ভোট পরিস্থিতি আর প্রাক ২০২৬ বিধানসভা ভোট প্রস্তুতি, দলের প্রস্তুতি এখন থেকেই চোখে পড়লেও, চোখে পড়ছে আরও একটি বিষয়। বিজেপিতে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপের অবস্থান। দিলীপ ঘোষ। নিজেই বলেন, যখন বাংলায় গেরুয়া শিবির জায়গা করে নিতে পারেনি একেবারে, তখন থেকে দলের পতাকা ধরে রয়েছেন তিনি। সঙ্গে এও মনে করিয়ে দেন, যখন রাজনীতি করেছেন, মন দিয়ে করেছেন। সংসার ধর্ম পালন করবেন মন দিয়েই।
বিজেপির দিলীপ ঘোষ এখন সংসারী। মাস খানেক হল বিয়ে সেরেছেন। তারপর থেকেই নানা কারণে দিলীপের সঙ্গে দলের, সহকর্মীদের দূরত্ব বেশ স্পষ্ট। আরও বেশি স্পষ্ট গত কয়েকদিনে। মোদির সভায় ব্রাত্য ছিলেন। অনেকেই ভেবেছিলেন শাহি সভায় যাবেন নিশ্চয়। জামাই ষষ্ঠীতে অমিত শাহের সভা বঙ্গ বিজেপির নেতাদের বেশ বিপাকেই ফেলেছে। শাহ না শ্বশুরবাড়ি বাছতে হয়েছে অনেককেই।
তবে এই শাহি সভা না শ্বশুরবাড়ি প্রশ্নে দিলীপ যেখানে টিক মার্ক দিয়েছেন, তাতে দূরত্বের রেখা বেশ চওড়া বলেই মনে হচ্ছে। শহরেই যখন অমিত শাহ, ছাব্বিশের ভোটের ব্লুপ্রিন্ট তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন, তখন দিলীপ গেলেন কোথায়? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বিয়ের পর প্রথম জামাই ষষ্ঠীতে বিজেপি নেতা গেলেন শ্বশুরবাড়ির তরফের আত্মীয়দের বাড়িতে।
রবিবার অর্থাৎ জামাইষষ্ঠীর সকালেই বেশ আক্ষেপ নজরে এসেছিল। দিলীপ বলেছিলেন শ্বশুরবাড়ি নেই, জামাইষষ্ঠী হবে কীভাবে? নজর ছিল গতিবিধির দিকে। বেলা বাড়তেই দেখা গেল শাহি সফরের অংশ না হয়ে গেলেন শ্বশুরবাড়ির তরফের আত্মীয়ের বাড়িতে।
মুকুন্দুপুরে মামাশ্বশুরবাড়িতে সস্ত্রীক পৌঁছেছেন প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, জানা গিয়েছে তেমনটাই। শাহি বৈঠকও চলছে। রাজনীতি করেছেন চুটিয়ে, সংসার ধর্মও পালন করছেন, চুটিয়ে। বিয়ের পর হিসেবমতো এটাই তাঁর প্রথম জামাইষষ্ঠী।
