আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ শহরে এলেন ফুটবলের রাজপুত্র। উন্মাদনা ঘিরে থাকল এলএমটেনকে নিয়ে। শনিবার সকাল থেকেই যুবভারতী ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। তিনি এলেন সাড়ে এগারোটা নাগাদ। আর বেরিয়ে গেলেন মিনিট কুড়ি পরেই।


মেসিকেই দেখতে পাচ্ছি না। বিরক্ত দর্শকরা গ্যালারি থেকে জলের বোতল ছুঁড়তে শুরু করলেন। গ্যালারি থেকে মাঠে উড়ে এল ভাঙা চেয়ারও। আয়োজকরা আর দেরি করেননি মাঠ থেকে মেসিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। যুবভারতীতে আসার কথা ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি থেকে শাহরুখ খান, সৌরভ গাঙ্গুলিদের। কিন্তু তারা আর মাঠে আসেননি। শাহরুখ সোজা বিমানবন্দর চলে যান। মেসিও চলে যান বিমানবন্দরের উদ্দেশে।


মাঠে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। কত বছর পর যুবভারতীর মাঠে এত দর্শক ঢুকল তা জানতে পরিসংখ্যানবিদের সাহায্য নিতে হবে। রীতিমতো তাণ্ডব চলল মাঠে। আচমকাই মাঠে দেখা গেল হাতে গেরুয়া পতাকা, মুখে জয় শ্রীরাম স্লোগান। সঙ্গে তাণ্ডব চালাচ্ছেন বেশ কয়েকজন।


এরা কারা?‌ প্রশ্ন উঠে গেল। দর্শকরা যখন বিরক্ত হয়ে গ্যালারি থেকে চেয়ার বোতল পড়ছে মাঠে, তখন কিন্তু ‘‌জয় শ্রীরাম’‌ ধ্বনি তোলা এই মানুষগুলোকে দেখা যায়নি। 


অনেক দর্শক মাঠে ঢুকে পড়েন। কয়েক জন ছিঁড়ে ফেলেন গোল পোস্টের জাল। ভেঙে ফেলেন সাজঘরে যাওয়ার ট্যানেলের ছাউনি। মাঠের ধারে রাখা তাঁবুতে অগ্নি সংযোগের চেষ্টা করেন কয়েক জন। স্টেডিয়ামের বাইরেও বিক্ষোভ দেখান দর্শকরা। এমনকী যুবভারতীতে লুঠ চালায় বিরক্ত জনতার একাংশ। চেয়ার, গাছের টব নিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা দেন দর্শকদের একাংশ। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ঘিরে প্রশ্ন উঠে যায়।


এত কিছু যখন ঘটছে, তখন আচমকাই মাঠের ভিতর দেখা যায় হাতে গেরুয়া পতাকা নিয়ে কয়েকজন রয়েছেন। দিচ্ছেন ‘‌জয় শ্রীরাম’‌ স্লোগান। 


যুবভারতীতে এই বিশৃঙ্খলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। খুব শীঘ্রই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে। 

এদিকে, জানা গিয়েছে সল্টলেক স্টেডিয়াম ছাড়ার পরেই সোজা হোটেল থেকে জিনিসপত্র নিয়ে বিমানবন্দর চলে যান মেসি। এবার গন্তব্য হায়দরাবাদ। শনিবার সন্ধেতেই সেখানে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মেসি। রবিবার যাবেন মুম্বই। সোমবার দিল্লি। সোমবার রাতে দিল্লি থেকেই ফের নিজের ঘরে ফিরে যাবেন এলএমটেন। কিন্তু তার আগে কলকাতায় যা হয়ে গেল!‌ আর ফুটবলের রাজপুত্র পা রাখবেন এখানে?‌ প্রশ্ন থাকবেই।