আজকাল ওয়েবডেস্ক: নাম না করে বুধবার বিজেপির ডাকা বনধ 'ব্যর্থ' করতে কংগ্রেস ও বামেদের আহ্বান করল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাদেরকে এই অনুরোধ করেন। 

 

মঙ্গলবার এই সম্মেলনে ব্রাত্য বলেন, 'শুভবুদ্ধি সম্পন্ন রাজনৈতিক দল যারা আজকের এই কর্মসূচিতে অংশ নেননি তাঁদের কাছে অনুরোধ করব তাঁরা কালকের বনধকে সমর্থন করবেন না।' প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ-এর ডাকা মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে অংশ নেয়নি বামেরা। তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল এই মিছিলে তারা অংশগ্রহণ করবে না। রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়ও জানিয়েছেন, তাঁরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেননি। ফলে ব্রাত্যর এই কথা থেকেই পরিষ্কার তিনি বুধবার বিজেপির ডাকা ধর্মঘট ব্যর্থ করতে বাম ও কংগ্রেসকেই আহ্বান জানিয়েছেন। 

 

বুধবার ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। ইতিমধ্যেই সেই উপলক্ষে দলের ছাত্র প্রতিনিধিরা কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন। ব্রাত্যর অভিযোগ, 'সমাবেশে শীর্ষ নেতৃত্ব যাতে বার্তা দিতে না পারেন সেই অভিসন্ধিতেই বনধ ডাকা হয়েছে।' ধর্মঘট ব্যর্থ করতে রাজ্যবাসীর কাছে আহ্বান জানিয়ে এবিষয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বনধ ব্যর্থ করতে কেউ যদি আর্থিক ক্ষতিরও মুখোমুখি হন তবেও রাজ্য সরকার পাশে থাকবে। 

 

এদিন রাজ্যের অর্থ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'সামনে পুজো। এইসময় অনেক বাণিজ্যিক লেনদেন হয়। সেটা বন্ধ করে রাজ্যের অর্থনীতিতে আঘাত হানতে এই বনধ ডাকা হয়েছে।' 

 

ছাত্র সমাজ-এর ডাকা মঙ্গলবারের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা বলেন, 'ওদের চাহিদা ছিল লাশ। কিন্তু এটা হল না। ভবিষ্যতেও হবে না।' পাশাপাশি বিজেপির ডাকা বুধবারের বনধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কেন সিবিআইয়ের কাছে না গিয়ে আপনারা এই বনধ ডেকেছেন সেটা মানুষ বুঝতে পারছেন।' 

 

বুধবার যাতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয় সেবিষয়েও রেলের কাছে অনুরোধ করেছেন চন্দ্রিমা। নবান্ন অভিযান-এর এই কর্মসূচিতে অনেক বিক্ষোভকারীর হাতেই ছিল জাতীয় পতাকা। যা জাতীয় পতাকার অবমাননা বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি। সে প্রসঙ্গে অর্থ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রয়োজনে এবিষয়ে আদালতেও যাওয়া হতে পারে। সম্মেলনে ছিলেন রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী, অরূপ বিশ্বাস এবং ইন্দ্রনীল সেন।