আজকাল ওয়েবডেস্ক: ম্যাচের শেষ বল হওয়া মাত্র দু'হাত দিয়ে মুখ ঢেকে মাঠেই হাঁটু গেড়ে মাথা নীচু করে বসে পড়লেন বিরাট কোহলি। ছুটে গিয়ে তাঁর পিঠ চাপড়াতে দেখা গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে। যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না বিরাট। কোনওক্রমে নিজেকে সামলে উঠে দাঁড়ালেন মুহূর্তের জন্য। তারপরই দৌড়। একেবারে বিরাটসুলভ। ছুটে গিয়ে ফিল সল্টের কোলে উঠে পড়েন। তারপর একে একে জড়িয়ে ধরেন রজত পতিদার, জস হ্যাজেলউড, রোমারিও শেফার্ড এবং দলের বাকি সতীর্থদের। আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম দেখল আবেগের বিস্ফোরণ। বছর দুয়েক আগে এক শীতের রাতে এই স্টেডিয়ামই খালি হাতে ফিরিয়েছিল কোহলিকে। ফেভারিট হওয়া সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে হাতছাড়া হয়েছিল বিশ্বকাপ। কিন্তু এদিন আর তার পুনরাবৃত্তি হয়নি। ফেভারিট হিসেবেই জিতলেন কোহলিরা। যদিও একটা সময় মনে হয়েছিল ম্যাচ বেরিয়ে যাবে। কিন্তু বোলারদের দাপটে শেষপর্যন্ত ইতিহাসে আরসিবি।
আর বিরাট কোহলি? একেবারে শিশুসুলভ আনন্দে মাতলেন। মাঠে যেন নিজেকে হারিয়েই ফেললেন। জেতার পর কয়েক মিনিট নিজের মধ্যে ছিলেন না বিরাট। দেখে মনে হয়, একটা ঘোরের মধ্যে আচ্ছন্ন। ছুটে গিয়ে বন্ধু এবি ডি ভিলিয়ার্সের কোলে উঠে পড়েন। তারপর দুই বন্ধুর আলিঙ্গনের সাক্ষী থাকল স্টেডিয়াম। দু'জনের মধ্যে বাক্য বিনিময়ও হয়। ক্রিস গেইলকেও জড়িয়ে ধরেন। আগাগোড়াই ক্যামেরার ফোকাস ছিল কোহলির দিকে। বেশ কিছুক্ষণ বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে মাতার পর শান্ত হন কোহলি। আবারও চোখের কোণ চিকচিক করে জলে। ততক্ষণে গ্যালারি থেকে মাঠে প্রবেশ করেছে ক্রিকেটারদের পরিবার। সটান গিয়ে অনুষ্কা শর্মাকে জড়িয়ে ধরেন কোহলি। স্ত্রীর কাঁধে মাথা রেখে আবারও কেঁদে ফেলেন। মাথায় হাত বুলিয়ে তারকা ক্রিকেটারকে শান্ত করেন বিরাট ঘরণী। দীর্ঘ ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান। আবেগের লাভাস্রোতে ভাসা খুবই স্বাভাবিক। এই দৃশ্যগুলো দেখার অপেক্ষায় স্টেডিয়াম ভরিয়েছিল ক্রিকেট ভক্তরা। টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন লক্ষ লক্ষ বিরাট ভক্ত।
