আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়িতে বিড়াল তো অনেকেই পুষে থাকেন। তবে যদি হাতের কাছে থাকে বিশ্বের সবথেকে পুরনো বিড়াল। তাহলে কেমন হবে জানতে চাইছেন তো। তাহলে বলছি সেই গল্প।


নাম তার মিলি। বয়স ৩০ বছর। সাধারণভাবে এতগুলি বছর ধরে কোনও বিড়াল বাঁচে না। তবে এখানেই গোটা পৃথিবী থেকে নিজেকে আলাদা করে নিয়েছে সে। বিশ্বের সবথেকে বেশি বয়সের বিড়ালদের তালিকায় মিলি এখন এক নম্বরে। কীভাবে এতগুলি বছর ধরে বেঁচে রয়েছে মিলি।

 


কোনও কুকুর বা বিড়াল যদি অতি যত্নেও রাখা হয় তাহলেও সেটি ৮ থেকে ৯ বছরের বেশি বাঁচবে না। তবে মিলি যেন সকলের থেকে আলাদা। নতুন মাইলস্টোন তৈরি করেছে সে। ইতিহাসের পাতায় তাই নাম তুলেছে মিলি। তার মালিক লেসলি গ্রিনহগের বয়স ৭০ বছর। তিনি মিলিতে নিজের সন্তানের মতোই আগলে রাখেন। ৫ বছর আগে লেসলির স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মিলি এখন তাঁর কাছে সবকিছু।

 


১৯৯৫ সালে মিলিকে কিনেছিলেন লেসসি। তখন তার বয়স ছিল ৩ মাস। তারপর তিন দশক ধরে বেঁচে রয়েছে মিলি। নিজের পোষা এই বিড়ালের ৩০ তম জন্মদিন পালন করেছেন লেসলি। মিলির মালিককে প্রশ্ন করা হয়েছিল কীভাবে এতগুলি বছর ধরে বেঁচে রয়েছে মিলি। তিনি তখন জানান মিলি শুধু প্যাকিং করা বোতলের জল খায়। এই বিশুদ্ধ জল খেয়েই সে এতগুলি বছর ধরে বেঁচে রয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়। মিলি মাছ,চিংড়িমাছ,মাংস এবং টুনা মাছ খায়।

 


করোনাকালে মিলির স্বাস্থ্য খানিকটা হলেও খারাপের দিকে গিয়েছিল। তবে পরে ফের একবার সে নিজের মতো করে সামলে নিয়েছে। কেউ যদি মিলিকে কোনও খাবার দেয় তাহলে মিলি সেই খাবার মুখে তোলে না। এটাই মিলির দীর্ঘজীবনের রহস্য। মিলির এই কাজের জন্য তার নাম গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের খাতায় উঠে গিয়েছে। ফলে খুবই খুশি হয়েছেন লেসলি।