আজকাল ওয়েবডেস্ক: এ এক বিশেষ এবং বিরল ধরণের কাঠ, যার দাম সোনার চেয়ে ১০০ গুণ বেশি! এই কাঠ, কাইনাম কাঠ নামে পরিচিত। অনন্য, মনোমুগ্ধকর সুবাসের জন্য বিখ্যাত এই কাঠ এটি পৃথিবীতে পাওয়া সবচেয়ে বিরল কাঠ। কাইনাম কাঠ 'দেবতাদের কাঠ' নামেও প্রসিদ্ধ।
কাইনাম কাঠের দাম কত? 
 
 বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যম 'আল জাজিরা'র একটি প্রতিবেদন অনুসারে, কাইনাম কাঠের প্রতি গ্রামে দাম ১০,০০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮.৫০ লক্ষ টাকারও বেশি)। ১০ গ্রাম কাইনাম কাঠের দাম প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকা। ফলে এই কাঠ হল পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল কাঠ।
কয়েক বছর আগে, সাংহাইতে দু'কেজি কিনাম কাঠ ১৫৪ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। 'আল জাজিরা'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মাহফে নামে এক ব্যক্তি ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো ১৬ কেজি কিনাম কাঠ পেয়েছিলেন এবং সেটি ১৭১ কোটি টাকায় বিক্রি করেছিলেন।
কোথায় পাওয়া যায়?
 
 কিনাম আগরউড গাছ মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বনাঞ্চলে পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে চিন, জাপান, ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশ। ভারতের অসমে অত্যন্ত বিরল কিনাম গাছ পাওয়া যায়। সেই কারণে অসম, ভারতের আগরউডের রাজধানীর স্বীকৃতি পেয়েছে।
কী কারণে কিনাম কাঠ এত দামি?
 
 আগরউড থেকে এক ধরনের রজন উৎপন্ন হয়, যা অনন্য, মনোরম সুগন্ধ যুক্ত। এই রজন দিয়ে ধূপ, সুগন্ধি এবং ওউড তেল তৈরি হয়। বিশেষ প্রক্রিয়ায় ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটিয়ে এ ধরনের গাছে তৈরি করা হয়।
এই রজন তৈরি হতে কয়েক দশক সময় নেয়, যা কাইনামকে পৃথিবীর বিরলতম কাঠে পরিণত করে। আগারউড, যা অ্যালোউড, ঈগলউড, জিনকোহ এবং গাহারু নামেও পরিচিত, বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ধূপ হিসাবে বিবেচিত হয়।
কাইনাম কাঠের ব্যবহার-
 
 মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে, কাইনাম কাঠ ধূপ হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং অতিথিদের স্বাগত জানাতেও কাজে লাগে। আরব দেশগুলিতে, এটি সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কোরিয়াতে, কাইনাম ঔষধি ওয়াইন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে ভারতে, এটি থেকে বিশেষ ধূপ এবং সুগন্ধি পণ্য তৈরি করা হয়।
