আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিঠাকুর কবে লিখে গিয়েছেন, 'ইহার চেয়ে হতেম যদি আরব বেদুয়িন! চরণতলে বিশাল মরু, দিগন্তে বিলীন।' তবে এই তরুণী বেদুয়িন হতে চাননি, উলটে বেদুয়িনের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে বাড়ি ছেড়ে ঘর বাঁধলেন গুহায়। 

সময়টা ২০২০। নাতালি প্রথমবারের জন্য জর্ডন যান। পরিচয় হয় ফেরাসের সঙ্গে। নাতলি দেশে ফিরে গেলেও, চলত ভার্চুয়ালি আলাপচারিতা। প্রায় ১৮মাস ভার্চুয়াল যোগাযোগের পর, ২০২১ সালে নাতলি ফের জর্ডন যান। তারপরেই কথাই  এবার। যে কথা শুনে, কেউ কেউ বলছেন হার মানাবে গল্পকেও। কেউ কেউ বলছেন, ভালবাসা আদতে এমনটাই। কোনও বাধাই বাধা নয়। 


আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, নাতালি স্নিদার, বয়স ৪২। অরল্যান্ডের বাসিন্দা যুবতী কাজ করতেন ট্যুর গাইড হিসেবে। কাজের খাতিরেই ইতালি, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, আমেরিকায় ছিল ব্যাপক যাতায়াত। কাজের জন্যই ২০২০ সালের মার্চে জনপ্রিয় পর্যটনস্থল পেট্রায় গিয়েছিলেন। সেখানেই পরিচয় হয় ৩২ বছরের ফেরাসের সঙ্গে।

ফেরাস তখন ঘোড়ায় চড়ে পেরোচ্ছিলেন। নাতালির দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওই মুহূর্ত। তিনি  ফেরাসের একটি ছবিও তুলেছিলেন তখন। পোস্টও করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।  সোশ্যালমিডিয়ার যুগ। ফেরাস  সেই ছবি দেখেনও। নাতিলাকে তিনি দেশ ঘুরতে আমন্ত্রণ জানান। তাঁদের জীবনযাপন জানতে আমন্ত্রণ জানান। 

যোগযোগ প্রেমে পরিণত হয়। নাতালি প্রেমের টানেই আমেরিকা ছেড়ে ঘর বাঁধেন জর্ডনে, গুহায়। দুই কামরার সংসার, যেখানে বড় হয়েছেন ফেরাস, এখন সেখানেই বাস যুগলের। নাতালি সেখানেই একটি সংস্থা খুলেছেন।