আজকাল ওয়েবডেস্ক: এ এক আশ্চর্যজনক ঘটনা। এক ইঁদুর নিজেই নিজের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। সম্প্রতি এক তরুণীর প্রিয় পোষা ইঁদুর, মি. আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট-এর মৃত্যু ঘটেছে এক অপ্রত্যাশিত ও মর্মান্তিক ঘটনার কারণে। এই ঘটনার ভয়াবহতা আরও বেড়ে যায় যখন তরুণীর বাবা তাঁকে এই খবর জানান। এই খবর তিনি জানিয়েছেন এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ভিডিওর মাধ্যমে, যেখানে কিনা ইঁদুর নিজেই নিজের মৃত্যুর কথা জানায়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পোষ্য ইুঁদুরটি তার খাঁচা থেকে পালিয়ে বাড়ির ভেতর ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এমন করতে করতে সে একটা পর্যায়ে বাড়ির ডিশওয়াশারের ভিতরে প্রবেশ করে। তরুণীর ভাষায়, 'সে যেন নার্নিয়ায় প্রবেশ করেছিল।' দুর্ভাগ্যবশত, তরুণীর বাবা বুঝতে না পেরে ডিশওয়াশার চালু করে দেন এবং সেখানেই প্রাণ হারায় ছোট্ট মি. আলেকজান্ডার।
ঘটনাটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে তরুণী লেখেন, 'আমার বাবা আমার ছোট্ট ইঁদুরকে ডিশওয়াশ করেছেন। ছোট্ট মি. আলেকজান্ডার তার খাঁচা থেকে পালিয়ে পুরোদমে এক্সপ্লোরার হয়ে উঠেছিল। ডিশওয়াশারের দরজা খোলা পেয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে। ঠিক যেন নার্নিয়াতে প্রবেশ করছে।বিশ্রাম নাও, মি. আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট। তুমি মারা গিয়েছো যেটা করতে ভালোবাসতে, সেই কাজ করতে গিয়ে। তোমার ওখানে একদমই থাকা উচিৎ ছিল না। আমার বাবা আমাকে এই খবরটা দিলেন এক 'কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (AI) কথা বলা হামস্টার' এর মাধ্যমে।'
ভিডিওতে দেখা যায়, মি. আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট একটি বীর যোদ্ধার রূপে হাজির হয়েছে। তার মাথায় হেলমেট, হাতে তলোয়ার ও পরনে একটি লাল রঙের চাদর। ভিডিওতে ওই ইঁদুর বলে, 'দুঃখিত, আমি মারা গিয়েছি। আমি ডিশওয়াশারের ভিতরে কী আছে দেখতে গিয়েছিলাম এবং তোমার বাবা আমাকে দেখতে পাননি। ক্যান্টিনা।'
এই ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন তুলেছে। এটি দেখে নেটিজেনদের নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ মজা করেই বলেছেন, 'সে একজন সম্মানিত মানুষের মতো মারা গেছে।' কেউ বলেছে, 'হামস্টাররা মনে হয় সবসময় মহাকাব্যিক যুদ্ধে মারা যায়।' আরেকজন মন্তব্য করে বলেছেন, 'এটি একটি পরিচ্ছন্ন মৃত্যু বটে। সে এই পৃথিবী ছেড়েছে নির্মল হৃদয়ে ও ময়লামুক্ত অবস্থায়।'
আরও একজন লিখেছেন, 'ইঁদুরটি যুদ্ধে মারা গিয়েছে। সে এখন ভাহাল্লায় ওডিনের পাশে বসে আছে।' আরেকজন মন্তব্য করেন, 'ফাদার অব দ্য ইয়ার।' কেউ কেউ বলেছেন, 'সে স্বর্গে আছে, আমি ওখানে তাকে দেখেছি।'
ভিডিওটির শেষ দিকে 'ক্যান্টিনা' ( 'Cantina') শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে, যা থেকে ধারণা করা যায় এটি সম্ভবত ক্যান্টিনা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এটি সাধারণত ডিজিটাল অ্যানিমেশন তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই অদ্ভুত ও মর্মস্পর্শী ঘটনার মধ্যেও, তরুণীর বাবার প্রচেষ্টা যেন মৃত্যুকে এক রকম বীরত্বপূর্ণ গল্পে পরিণত করে। ভিডিওটি যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় কিঞ্চিৎ হাস্যরসাত্মকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, তবুও এর পেছনে লুকিয়ে আছে জীবনের প্রতি গভীর ভালোবাসা, এমনকী কোনও ক্ষতিকে বিচিত্রতভাবে মেনে নেওয়ার চেষ্টা।
