আজকাল ওয়েবডেস্ক: একেই বলে প্রযুক্তির যন্ত্রণা। নরওয়ের এক ব্যক্তি চ্যাটজিপিটিকে মজা করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "আমি কে?" জবাবে চ্যাটজিপিটি বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা যা জবাব দিয়েছিল তা দেখেই চক্ষুচড়ক প্রশ্নকর্তার। রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন ওএই ব্যক্তি। শেষে থানায় ছুটেছিলেন চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ গায়ের করতে।  

সংবাদ পত্র ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আরভে জালমার হোলমেন নামে এক ব্যক্তি এআই চ্যাটবটকে তাঁর সম্পর্কে জানানোর জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। পাল্টা তিনি যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন তা ছিল রীতিমত আশ্চর্যের।

"আমি কে?" আরভে জালমার হোলমেন-এর এই প্রশ্নের উত্তরে চ্যাটজিপিটি উত্তর দেয়- "আপনি নরওয়ের একজন বাসিন্দা, যিনি এক দুঃখজনক কারণে মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে, আপনি আপনার ৭ এবং ১০ বছর বয়সী দুই পুত্রকে হত্যা করেছিলেন, যাদের পরে পুকুরের ধারে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।"

জবাব দেকেই হতবাক হয়ে পড়েন আরভে জালমার হোলমেন। চ্যাটজিপিটির মিথ্যা দাবিতে আতঙ্কিত হয়ে আরভে তখনই চ্যাটবটের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে থানায় যান।

চ্যাটজিপিটি-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ:
নরওয়েজিয়ান ডেটা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের কাছে করা অভিযোগে আরভে জালমার হোলমেন বলেছেন যে,  চ্যাটজিপিটি তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। তাঁর নাম এবং সন্তানদের সংখ্যার মতো কিছু বিবরণ সঠিক হলেও  হত্যার দাবি সম্পূর্ণরূপে ভুয়ো ছিল।

আরভে জালমার হোলমেনের অভিযোগ যে, যে এই ধরনের ভুল তথ্য তাঁর জীবন ধ্বংস করতে পারে। ন্যায়বিচার চেয়ে, তিনি ডিজিটাল অধিকারের পক্ষে কাজ করা একটি সংস্থা 'নয়বে'-এর দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর মানহানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এবং চ্যাটজিপিটি-এর নির্মাতাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। এদিকে, চ্যাটজিপিটির ধারণ সংস্থা ওপেন-এআই প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে যে, তারা চ্যাটবটের প্রতিক্রিয়াগুলির নির্ভুল করতে প্রযুক্তিগত উন্নতিতে নজর দিয়েছে।