আজকাল ওয়েবডেস্ক: লিভ-ইন সম্পর্ককে একসময় নিষিদ্ধ হিসেবে দেখা হত; তবে, ভারত-সহ সারা বিশ্বে বর্তমানে বিষয়টি গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। তবে, বিশ্বের অনেক দেশে এবং বেশ কিছু সংস্কৃতিতে, "লিভ-ইন" সম্পর্কের ধারণাটি এখনও গৃহীত হয় না। এটি বিশেষ করে তাদের ক্ষেত্রে সত্য যারা বিবাহকে উচ্চ সম্মানের নজরে দেখেন। অন্যদিকে, অনেক তরুণ আছেন যারা মনে করেন যে "লিভ-ইন" সম্পর্ক ভালবাসা এবং বিশ্বাসের একটি শক্তিশালী স্তরের প্রতিনিধিত্ব করে।

কোন দেশে বেশিরভাগ দম্পতি লিভ-ইন সম্পর্কে থাকেন?
অন্যান্য পাশ্চাত্যের দেশগুলির মতো, ভারতও দ্রুত লিভ-ইন সম্পর্ক গ্রহণ করছে। লিভ-ইন সম্পর্ক হল যেখানে দু'জন প্রেমিক-প্রেমিকা বিবাহিত দম্পতির মতো একই ছাদের নীচে একসঙ্গে থাকেন, কিন্তু বিবাহ ছাড়াই। কিন্তু, আপনি কি জানেন বিশ্বের কোন দেশে সবচেয়ে বেশি লিভ-ইন সম্পর্কের যুগলদের বসবাস? কী অবরস্থা ভারতের?  

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, সুইডেনে সবচেয়ে বেশি যুগল বিবাহ ছাড়াই একসঙ্গে থাকেন। উল্লেখ্য যে, সুইডেনে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ একে অপরের সঙ্গে বিবাহ না করেই একসঙ্গে থাকেন। প্রায় ৪০ শতাংশ দম্পতিই অবশ্য লিভ-ইন সম্পর্ক শুরুর কিছু দিনের মধ্যেই সেই সম্পর্ক শেষ করে দেয়, এছাড়া মাত্র ১০ শতাংশ যুগল বিয়ে না করেই তাদের বাকি জীবন দম্পতি হিসেবে থাকতে পছন্দ করেন।

নরওয়ে এবং ডেনমার্কে লিভ-ইন সম্পর্কের প্রবণতা সুইডেনের সঙ্গে কীভাবে তুলনীয়?
সুইডেনের পরেই তালিকায় রয়েছে নরওয়ে। অনেক দম্পতি সেখানেও লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে পছন্দ করেন। নরওয়ের পরেই রয়েছে ডেনমার্ক।

লিভ-ইন সম্পর্কের নিরিখে বিশ্বব্যাপী ভারতের অবস্থান? 
ভারতে লিভ-ইন অংশীদারিত্বের সঠিক শতাংশ নির্ধারণ করা সহজ নয়, কারণ এই বিষয়ে কোনও সরকারি আদমশুমারি বা গবেষণা করা হয়নি। তবে, এই সম্পর্কের প্রতি মানুষের ধারণা ক্রমশ বদলাচ্ছে। লিভ-ইন সম্পর্কের দম্পতির অনুপাত ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, অনুমান করা হয়েছে যে প্রতি ১০ জন দম্পতির মধ্যে ১ জন লিভ-ইন সম্পর্কের মধ্যে বসবাস করছেন। ভারতের উত্তরাখণ্ডে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়নের পর, লিভ-ইন সম্পর্কের মধ্যে থাকা দম্পতি প্রথমবারের মতো আইনি স্বীকৃতি পেয়েছে।

আরও পড়ুন-  শরিয়ত পরিচালিত সৌদি আরবে পর্যটকদের রমরমা, কিন্তু এ দেশে মদ বিক্রি হয়? জানুন

লিভ-ইন সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে, অভিন্ন দেওয়ানী বিধি এই অংশীদারিত্বগুলি নিবন্ধন এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কাঠামো প্রদান করতে চায়, যা সহিংসতা এবং নির্যাতন প্রতিরোধে সহায়তা করবে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে এক্স পোস্টে  লেখা হয়েছে, “যারা লিভ-ইন সম্পর্কের মধ্যে বসবাস করছেন তাদের এখন প্রশাসন এবং তাদের বাবা-মাকে এই বিষয়ে অবহিত করতে হবে। আমাদের প্রচেষ্টা কারো গোপনীয়তা লঙ্ঘন না করা। আমাদের প্রচেষ্টা লিভ-ইন সম্পর্কের সময় যে হিংসা ঘটে তা বন্ধ করা।”