আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রিন্সটনের একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে নিজের ছোট ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ম্যাথিউ হার্টজেন নামক এক ব্যক্তিকে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ২৬ বছর বয়সী ভাই জোসেফ হার্টজেনকে মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছেন, তাঁর একটি চোখ উপড়ে ফেলে তা খেয়েও ফেলেন! পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিনি পরিবারের পোষা বিড়ালটিকেও আগুনে পুড়িয়ে মেরেছেন।

জানা যাচ্ছে, এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে শনিবার রাতে উইথারস্পুন স্ট্রিটের কাছে মিশেল মিউস অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে।

ম্যাথিউ হার্টজেন নিজেই ৯১১-এ ফোন করে পুলিশকে ডেকে আনেন, যারা ঘটনাস্থলে এসে জোসেফ হার্টজেনের ক্ষতবিক্ষত দেহ, রক্তমাখা ছুরি, কাঁটা এবং প্লেট খুঁজে পান। এর থেকে পুলিশ অনুমান করছে যে ম্যাথিউ তাঁর ভাইয়ের দেহাংশ খেয়েছেন। এছাড়াও, সেখানে পোষা বিড়ালের পোড়া দেহাবশেষও উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার সময় তিনি একটি ধারালো অস্ত্র এবং গলফ স্টিক ব্যবহার করেছিলেন। নিহত জোসেফ হার্টজেন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড় এবং লোকাস্ট পয়েন্ট ক্যাপিটাল নামে একটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানে বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করতেন। অভিযুক্ত ম্যাথিউ হার্টজেন ওয়েসলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে ড্রাইভিং-এর সময় মদ্যপানের অভিযোগ থাকলেও এর আগে কোনো গুরুতর অপরাধের রেকর্ড ছিল না।

হার্টজেন পরিবার এলাকায় অত্যন্ত সম্মানিত ছিল এবং প্রিন্সটনে স্থানান্তর হওয়ার আগে নিউ জার্সি শোরের ১.১ মিলিয়ন মূল্যের একটি বাড়িতে বাস করতেন। তাঁদের বাবা ডেভিড হার্টজেন সিনিয়র ওয়াইলাইন নেটওয়ার্কস নামে একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যার বার্ষিক আয় ২৫ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে।

ম্যাথিউ হার্টজেনের বিরুদ্ধে প্রথম-ডিগ্রি হত্যাকাণ্ড, অস্ত্র অপরাধ এবং প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতার অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁকে আজীবন কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে। জোসেফ হার্টজেনের মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় রয়েছে।