আজকাল ওয়েবডেস্ক: আপনি মানুন বা না মানুন। এই মাছ যখনই জলের নিচ থেকে ভেসে উঠবে তখনই নানা ধরণের বিপর্যয় নেমে আসবে সর্বত্র। তাইতো একে দুর্ভাগ্যের মাছ বা ওরাফিস বলে থাকে। এর এবার এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি এই মাছ বেরিয়ে আসা কোন নতুন বিপদের সঙ্কেত দিল। সেবিষয়ে চিন্তায় পড়েছেন সকলেই।


তাসমানিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের সমুদ্র তীরে ভেসে এল তিন তিনটি ওরাফিস। এরা জলের নিচে থাকে বলে সহজে এদের দেখা যায় না। তবে এতগুলি মাছ ভেসে ওঠার জেরে বেশ ভয় পয়েছেন সকলেই।


ওরাফিস হল একটি গভীর সমুদ্রের মাছ, যা সাধারণত সমুদ্রের অনেক গভীরে বাস করে। এটিকে "ডুমসডে ফিশ" বা "মৃত্যুর মাছ" হিসাবেও উল্লেখ করা হয়, বিশেষ করে জাপানে, যেখানে একে শয়তানের মাছ বলেও মনে করা হয়। এই মাছটি লম্বায় প্রায় ১০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে এবং এটি খুব বিরল। কিছু লোক বিশ্বাস করে যে, এই মাছের দেখা মেলা মানেই কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিপর্যয় আসন্ন।


এটি একটি গভীর সমুদ্রের মাছ, যা সাধারণত সমুদ্রের অনেক গভীরে বাস করে। এটিকে "ডুমসডে ফিশ" বা "মৃত্যুর মাছ" বলা হয়। জাপানে একে "শয়তানের মাছ" হিসাবেও বিবেচনা করা হয়।


এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। এটি একটি বিরল মাছ। কিছু লোক বিশ্বাস করে যে, এই মাছের দেখা মেলা মানেই কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিপর্যয় আসন্ন।


প্রাচীন জাপানি বিশ্বাস অনুসারে, সমুদ্রের অতল থেকে এই মাছ যদি উপরে উঠে আসে, তবে শীঘ্রই ভূমিকম্প বা সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটতে পারে। অতীতেও জাপানে এমন ঘটনার নজির রয়েছে, যেখানে ওরাফিস দেখার পর বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে।


বিজ্ঞানীরা অবশ্য এই বিশ্বাসকে কুসংস্কার বলেই মনে করেন। তাঁদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের পরিবর্তন এবং জলের গভীর স্তরের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে এই মাছগুলো উপরে চলে আসছে। এটি হয়তো বিপর্যয়ের পূর্বাভাস নয়, বরং পরিবেশগত পরিবর্তনের একটি প্রভাব।