আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০০৫ সালে লটারিতে জিতেছিলেন ২০ কোটি টাকা। ব্রিটেনের ইস্ট ইয়র্কশায়ারের বাসিন্দা লারা গ্রিফিথ ২০০৫ সালে লটারিতে জিতেছিলেন ২০ কোটি টাকা। একসঙ্গে এতগুলো টাকা হাতে পেয়ে মাথা ঘুরে গিয়েছিল ওই মহিলার। এখন তিনি একেবারে নিঃস্ব।
জানা গেছে, লটারি পাওয়ার আগে একদম সাধারণ জীবনযাপন করতেন ওই মহিলা। স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে ছিল সুন্দর সংসার। লারা পেশায় ছিলেন শিক্ষিকা। আর তাঁর স্বামী রজার ছিলেন আইটি ম্যানেজার। দু’জনেই তখন মধ্য তিরিশে। আচমকা লটারি জিতে স্বামী–স্ত্রী দু’জনেই চাকরি ছেড়ে দেন। প্রায় ৫ কোটি টাকা দিয়ে বাড়ি কেনেন। পাশাপাশি বিদেশ ঘুরতে শুরু করেন। দুবাই, ফ্লোরিডা, ফ্রান্স কোনও জায়গা বাদ দেননি। এমনকী একটি স্যালনও কেনেন প্রায় দেড় কোটি টাকায়।
কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে বেশ কিছু ঘটনা একেবারে শেষ করে দেয় ওই দম্পতিকে। ২০১০ সালে তাঁদের স্বপ্নের বাড়ি আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়। কোনওমতে সেই বাড়ি সারিয়ে ২০১১ সালে আবার ওই বাড়িতে বসবাস শুরু করেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামলে ওঠার আগেই ২০১৩ সালে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় লারার। তাঁর কথায়, ‘তারপর থেকে আমার লড়াইয়ের শুরু। সন্তানকে বড় করার দায়িত্ব নিই। কিন্তু ততদিনে সংসারে দেখা দিয়েছে আর্থিক অনটন।’ বিচ্ছেদের পর লারার আর্থিক সমস্যা আরও বড় হয়ে দেখা দেয়। বাড়ি, স্যালন সব বিক্রি করে দিতে হয়।
মা–বাবার বিচ্ছেদ একেবারেই নিতে পারেনি মেয়ে রুবি। ট্রমাটাইজড থাকত প্রায়ই। লারার কথায়, ‘আমার মেয়ে এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয়। বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা মনে করলে ও এখনও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।’
এখন মায়ের সঙ্গে একটি সাধারণ বাড়িতে থাকেন লারা। সঙ্গে দুই মেয়ে। বড় মেয়ে রুবি এখন ২০। আর কিটির বয়স ১৭। লটারি জেতার পরেই ছোট মেয়ের জন্ম হয়। লড়াই করে দুই মেয়েকে বড় করছেন লারা।
