আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্পদশালী হলেই আলিশান বাড়ি, কোটি টাকার গাড়ি, লাখ টাকার জামাকাপড় পড়তে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এই ধারনা আরও চেপে বসেছে। কিন্তু প্রচোলিত এই বদ্ধমূল ধারনার বিপরীত পথে গিয়ে চমক দিচ্ছেন একাধিক ধনকুবের। যা দুনিয়াজুড়ে প্রশংসিত।
উদ্যোগপতি বা এন্টারপ্রেনিয়র স্যাং সাভেদ্রা। এই ধনকুবের হার্ভাড বিস্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও পেশায় ফিন্যান্স ভ্লগার। প্রসিদ্ধ ফরচুন পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, সাভেদ্রা ও তাঁর স্বামী আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে চার কামরার ভাড়া বাড়িতে থাকেন, চড়েন ১৬ বছরের পুরনো সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়িতে, খেয়ে থাকেন মূলত ফ্রোজেন খাবার।
সাভেদ্রার সন্তানরাও সাধারণ জামাকাপড় পরেন, ফেসবুক থেকে খেলনা কেনেন। এই ধনকুবের দম্পতি সন্তানদের লেখাপড়া, রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ এবং জনহিতকর কাজে ব্যয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। প্রচুর অর্থ দান-ধ্যান করেন। প্রসঙ্গত, নিউ ইয়র্কেও এঁদের বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। তাও এই সম্পদশালী দম্পতির সন্তানরা একটি বেসরকারি সাধারণ স্কুলেই পড়েন।
ফরচুর পত্রিকাকে সাভেদ্রা বলেছেন যে, "অবশ্যই আর পাঁচ জনের মত আমিও বিলাসবহুল সামগ্রী দেখতে উত্তেজিত হই। কিনতে ইচ্ছে হয়। অনেক সময় কিনেও ফেলি। কিন্তু ওইসব দামী গাড়ি, বাড়ি কেন আমার চাই, তা নিজের মনকে প্রশ্ন করলে বেশিরভাগ সময়ই কোনও যুক্তিপূর্ণ জবাব পাই না। তখনই মনে হয় জীবনে এইসবগুলি না হলেও ভালো করে বাঁচা যায়।"
সাভেদ্রার মতই ধনকুবের গবেষক ও মহিলাদের ফিন্যান্স কোচ অ্যানি কোলও সাধারণ জীবযাত্রা বেছে নিয়েছেন। তাঁর ১ মিলিয়ান মার্কিন ডলারের সম্পত্তি রয়েছে। তবুও অ্যানির মাসিক খরচ মাত্র ৪ হাজার মার্কিন ডলার। বাজে খরচ কমাতে এই ধনকুবের কয়েক বছর আগে তাঁর গাড়ি বিক্রি করেছেন, সাপ্তাহিক খাবার রান্না করেন, এমনকি চুল-ও কেটে ফেলেছেন। কোল বছরে মাত্র তিনবার পোশাক কেনেন। প্রয়োজনে কেনেন সেকেন্ড-হ্য়ান্ড জিনিস। হিকিং ও সাঁতার ভালোবাসের এই ধনকুবের। তাই এইসব করা যাবে এমন জায়গাতেই কাছে-পিঠে বেশিরভাগ সময ঘুরতে যান। ভ্রমণের জন্য কম খরচের বিমানই কোল ও তাঁর স্বামীর পছন্দের।
