আজকাল ওয়েবডেস্ক: অভিভাবক হওয়া জীবনের এক বড় আশীর্বাদ, কিন্তু সেইসঙ্গে এক কঠিন দায়িত্বও। পড়াশোনা, খাবারের পরিকল্পনা, মেজাজি কিশোর-কিশোরী বা একরোখা বাচ্চার সঙ্গে লড়তে গিয়ে অনেক সময়ই আমরা ভুলে যাই—সন্তানের সঙ্গে একটা গভীর সম্পর্কই ওর মানসিক স্বাস্থ্য ও আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি।

আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথ (NIH) জানিয়েছে, অভিভাবকদের "উপস্থিত থাকা, আবেগগতভাবে সাড়া দেওয়া, এবং ধারাবাহিক আচরণ" সন্তানের সুস্থ মানসিক গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পরিপূর্ণতা নয়, সংযোগই আসল: সন্তান যেন বুঝতে পারে, তাকে দেখা ও শোনা যাচ্ছে—এই অনুভূতিই তাকে নিরাপদ রাখে। ছোট ছোট মুহূর্তেই তৈরি হয় গভীর সম্পর্কের জাল।

ভরসা ও নিরাপত্তার বাতিঘর হয়ে উঠুন: কঠিন সময়েও সহানুভূতি দেখান, স্থির থাকুন। সন্তানের মনে যেন থাকে—“মা-বাবার কাছে আমি সব বলতে পারি।”

 দশ মিনিট হলেও সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন: ফোন সরিয়ে রেখে চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। আপনার উপস্থিতিই ওর কাছে সবচেয়ে বড় উপহার।

শুধু আদেশ নয়, ব্যাখ্যা দিন: নিয়মের কারণ বোঝান, যাতে ও শেখে, শুধু মানতে নয়—ভাবতেও।

শোনার অভ্যাস গড়ে তুলুন: সব সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে না। অনেক সময় শুধু মনের কথা বলা আর আপনার শ্রোতা হওয়া—এটাই যথেষ্ট।

 সীমা থাকুক, কিন্তু কোমলভাবে: পরিষ্কার নিয়ম ও ভালোবাসা—এই দুই-ই সন্তানকে গঠন করে।

চেষ্টা'র প্রশংসা করুন: এতে ও শেখে—চেষ্টা করাটাই আসল, সাফল্য আসবে পরে।

ঝগড়ার পর মেরামত জরুরি: ভুল হলে আপনি নিজেও ক্ষমা চান—এটাই শেখায় সম্পর্ক কীভাবে টিকে থাকে।

একসঙ্গে হাসুন, খেলুন: এই আনন্দই তৈরি করে এমন এক বন্ধন, যা সারা জীবনের।

সন্তানকে বড় করার পথটা নিখুঁত হওয়া দরকার নেই—প্রয়োজন আপনি পাশে আছেন এই বিশ্বাসটুকু।