আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমেরিকায় যারা কাজ করেন তাদের কাছে এবার চাপ বাড়ছে। ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে আমেরিকাতে কাজের সময়সীমা। ফলে আগামীদিনে সেখান যে ২৪ ঘন্টা কাজের নিদান শুরু হবে না একথা কেউ বলতে পারছে না।
এখানেই শেষ নয়, সারাদিন কাজ করার পর গভীর রাত পর্যন্ত মিটিং যেন বাড়তি দায় হয়ে উঠেছে। এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে মাইক্রোসফট। আমেরিকায় থাকা প্রায় ৪০ শতাংশ কর্মীরা এই বাড়তি চাপ নিতে পারছেন না। ফলে তারা এবার বিকল্প হিসেবে কোথায় যাবেন সেটাই দেখছেন।
আমেরিকাতে যারা ডিজিটাল কাজ করেন তাদের কাজের সময় শুরু হচ্ছে সকাল ৬ টা থেকে। এরপর সেখান থেকে প্রায় রাত ১০ টা পর্যন্ত চলছে কাজের বহর। এই দীর্ঘসময়ে তাদেরকে ১১৭ টি ইমেল করতে হচ্ছে এবং ১৫০ টি মেসেজের উত্তর দিতে হচ্ছে। ফলে সেখান থেকে মাথায় হাত পড়েছে এই কর্মীদের।
কোনও প্রতিষ্ঠানে এমন কাজের সময় থাকে না সেটা ঠিক। তবে আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন এই কাজের পরিবেশ সকল কর্মীদের মাথায় যেন চাপিয়ে দিতে চলেছে। ফলে সকাল ১০ টা ৫ টা পর্যন্ত কাজ করব। তারপর আর করব না সেই নিয়ম এবার থেকে প্রায় বন্ধের মুখে আমেরিকাতে।
অফিসের কাজ আর অফিসে বসে করার মতো অবস্থায় নেই। সেখানে বাড়িতে বসে নিজের মোবাইল থেকেই তারা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। সেখানে থাকছে না কোনও শিফটের খেলা। সারাদিনের বেশিরভাগ সময়তেই তারা কাজের মধ্যে কাটিয়ে দিচ্ছেন।
যে ছবি সামনে উঠে এসেছে সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে প্রতি বছর আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজের সময় বদল করছে। তারা কোনও নির্দিষ্ট কাজের সময় রাখতে চাইছে না। ফলে তারা দিনের সকাল থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে যা পরবর্তীকালে চলতে থাকছে। আমেরিকায় কাজের এই পরিবেশ দেখে ভয় পাচ্ছেন সেখানকার কর্মীরা। তারা মনে করছেন যেভাবে এই কাজের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে তাতে তারা আগামীদিনে আরও বড় সঙ্কটে পড়বেন।
