আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহাকাশে স্পেসওয়াক করে ইতিমধ্যেই নতুন রেকর্ড তৈরি করেছেন সুনীতা উইলিয়ামস। সেখানে তার সঙ্গী ছিলেন পেগি উইটসন। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সেন্টার থেকে তারা দুজনেই মহাকাশে স্পেসওয়াক করেছেন। যদিও তারপর সুনীতা নিজে জানিয়েছিলেন তিনি পৃথিবীতে হাটতে ভুলে গিয়েছেন। দুজনে মিলে ৬০ ঘন্টা ২১ মিনিট ধরে স্পেসওয়াক করেছেন।
 
 সুনীতা উইলিয়ামস এই নিয়ে ৯ বার স্পেসওয়াক করেছেন। তাকে এই কাজে বিশেষভাবে সহায়তা করেছেন তার বিশেষ সহকর্মী বুচ উইলমোর। স্পেসওয়াক করার আগে সুনীতা স্পেস স্টেশনের মধ্যেই কার অনুশীলন করেছিলেন। ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে রয়েছেন সুনীতা এবং তার সহযোগীরা। ২০২৫ সালেই তাদের পৃথিবীতে ফেরার কথা। তবে তারা কবে ফিরবেন তা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি। 
 
 তাদেরকে পৃথিবীতে ফেরানোর কাজটি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে নাসা। বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং টেসলা কর্তা ইলন মাস্কও। তারা দুজনেই নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে এই বার্তা দিয়েছেন। 
 
 তবে এখানে একটি বড় প্রশ্ন উঠেছে। সাতমাস ধরে জিরো গ্রাভিটিতে থাকার পর পৃথিবীর পরিবেশ এখন একেবারে অজানা সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার সহযোগী মহাকাশচারীদের কাছে। ইতিমধ্যেই সুনীতা তার ছাত্রদের সঙ্গে কথায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি হাটতে ভুলে গিয়েছেন। দিনরাত ধরে ভেসে থাকার জন্য তার দেহে অন্য নানা ধরণের প্রক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তাই সেখান থেকে যদি তিনি এবার পৃথিবীতে ফেরত আসেন তাহলে তিনি নিজেও জানেন না কবে থেকে তিনি হাটতে পারবেন। 
 
 বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত নাসাও। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বহু আগেই তারা পৃথিবীতে ফেরত আসতেন তবে তাদের শরীরে এই অভ্যাস তাদেরকে পৃথিবীর মাটিতে মানিয়ে নিতে অনেকটা অসুবিধা সৃষ্টি করবে। যদি তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় তাহালে বেশ কিছুদিন ধরে তারা হয়তো বিছানায় শষ্যাশায়ী হবেন। তারপর পৃথিবীর পরিবেশের সঙ্গে তারা মানিয়ে নিতে পারবেন। 
