আজকাল ওয়েবডেস্ক: খালি চোখে এদের দেখা মেলা ভার। তবে চিকিৎসকদের হাতে এলেই এরা অতি সহজে ধরা পড়ে যাচ্ছে। নতুন এই ব্যাকটেরিয়া এবার চিন্তার কারণ।
পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে তৈরি হচ্ছে নতুন ধরণের ম্যাগনেটিক ব্যাকটেরিয়া। এরা অন্যদের থেকে একেবারে আলাদা। এর প্রধান কারণ হল এরা অতি সহজেই দলগত অবস্থা থেকে সরে গিয়ে নিজেরা একলা থাকতে পারে। সেখান থেকে এরা অতি সহজেই মানুষের দেহে প্রবেশ করে সেখান থেকে নানা ধরণের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
নাসার একটি গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে এই বিরল ছোটো ব্যাকটেরিয়াগুলি প্রতিটি মানুষের দেহে অতি সহজেই প্রবেশ করতে পারে। সেখানে দ্রুত নিজের ঘর তৈরি করে বংশবৃদ্ধি করতে থাকে। এরা এত সহজে নিজেদের বংশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে যে সেখান থেকে বাকিরা লজ্জা পেয়ে যাবে।
এদেরকে এককথায় বলা যায় মাল্টিসেলুলার ম্যাগনেটিক ব্যাকটেরিয়া। এরা অতি সহজে মানুষের দেহে চুম্বকের মতো আটকে গিয়ে সেখান থেকে দেহে প্রবেশ করতে পারে। ঠিক যেমন পৃথিবী সকলকে নিজের দিকে ধরে রেখেছে। তেমনভাবে এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের দেহে চুম্বকের মতো আটকে থাকতে পারে। এই নতুন ব্যাকটেরিয়াকে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন চিকিৎসকরা।
একবার যদি এরা দেহে প্রবেশ করতে পারে তাহলে সেখান থেকে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে। ফলে যদি দ্রুত এদের নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তাহলে এদের থেকে দেহে নানা ধরণের রোগের বাসা হতে পারে। দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে অতি দ্রুত শেষ করে দিতে পারে এই ধরণের ব্যাকটেরিয়া। ফলে সেটা বাড়তি চিন্তার কারণ হয়েছে।
দেহের প্রতিটি সেল বা কোশকে আলাদাভাবে আক্রমণ করে নতুন এই ব্যাকটেরিয়া। ফলে এদের আলাদা করা বেশ কঠিন। এই ধরণের ব্যাকটেরিয়াগুলি প্রতিদিন নিজেদের চরিত্র বদল করছে। ফলে সেখান থেকে আগে তৈরি করা সমস্ত ওষুধ বিফলে যাচ্ছে। এবার এদের মোকাবিলা করতে হলে দরকার নতুন ওষুধ। সেটা তৈরি করাই এখন চিকিৎকদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
