আজকাল ওয়েবডেস্ক: আসিম মুনির যতই লাফালাফি করুক না কেন ২০২৫ সালটি মোটেই তাদের কাছে ভাল যায়নি। যদিও তাল বুঝে মুনির নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন। তবে অপারেশন সিঁন্দুরে পাকিস্তানের যে ক্ষতি হয়েছে তার ধাক্কা সামলাতে পাকিস্তান একেবারে নাস্তানাবুদ হয়েছে।


২০২৬ সালে যেখানে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ নিজেদের উন্নতির দিকে জোর দেবে সেখানে পাকিস্তান শুধুমাত্র নিজেদের ভগ্নদশার এয়ারবেসগুলি মেরামত করে যাবে। যে ধাক্কা তারা ভারতের কাছে খেয়েছে তাতে সারা বছর ধরে তারা তাকে নিয়েই থাকতে হবে। পাকিস্তানের ১১ টি এয়ারবেস যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখান থেকে তাকে সারিয়ে তোলাই এখন পাকিস্তানের প্রধান কাজ।


যে স্যাটেলাইট ছবি সামনে এসেছে সেখান থেকে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এয়ারবেসগুলি এখনও সকলের নজর কাড়ছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী দেশের হাবভাব এমন যেন কিছুই হয়নি। তারা অতি সহজেই এই ধাক্কা সামলে নিয়েছে। তবে আসলে বিষয়টি একেবারে অন্যরকম। ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ভারত থেকে পাকিস্তানে ৮০ টি ড্রোন পাঠানো হয়েছে। তার ধাক্কা সামলাতে গিয়ে একেবারে হিমসিম হয়েছিল পাকিস্তান।


বিশ্বের সামনে পাকিস্তান বারে বারে অপারেশন সিঁন্দুর নিয়ে নানা মিথ্যা তথ্য প্রকাশিত করেছে। তবে তাদের সেই মিথ্যা স্যাটেলাইটের ছবির সামনে প্রকাশিত হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন এয়ারবেসগুলির যে হারে ক্ষতি হয়েছে সেখান থেকে তাদের সামলে উঠতেই এখন কয়েকবছর লেগে যাবে। 


পাকিস্তানের যে ১১ টি এয়ারবেস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখান থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সেই টাকা তারা কোন পথে যোগাড় করবে সেই ভেবেই তারা অথৈ জলে। যদি বিশ্বব্যাঙ্কের অর্থ তারা এই কাজে খরচ করে তাহলে সেখান থেকে তাদের দেশের অর্থনীতি একেবারে তলানিতে চলে যাবে। পাশাপাশি বিষয়টি একেবারে সকলের চোখের সামনে চলে আসবে। তাই এই কাজে তারা আরেক প্রতিবেশী দেশ চীনকে লাগাতে চাইছে। তবে তাদের এই আশা কতটা ফলদায়ক হবে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে বিরাট প্রশ্ন।

&t=657s


পাকিস্তান এখন মুনিরকে সামনে রেখে সকলের কাছে ভাল হতে চাইছে। তবে এই কাজ করতে গিয়ে ফের মোশারফের পথে তাদের যেতে হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই। যদি দেশের সর্বোচ্চ কর্তা হিসেবে মুনিরের হাতেই সমস্ত ক্ষমতা চলে যায় তাহলে সেখান থেকে ফের তাদের দেশের গণতন্ত্র ফেরানো কঠিন হয়ে যাবে।