আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুই দেশ। একে অপরের পাশে থাকার পরিবর্তে, একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। গত কয়েকদিনে পাক-আফগান যুদ্ধ নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিশ্ব রাজনীতিতে। পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে ভবিষ্যতে, তা ঠিক করতে, শনিবার বৈঠকে বসে দুই দেশ, অপর দুই দেশের মধ্যস্থতায়।
Statement | Pakistan and Afghanistan Agree to an Immediate Ceasefire During a Round of Negotiations in Doha#MOFAQatar pic.twitter.com/fPXvn6GaU6
— Ministry of Foreign Affairs - Qatar (@MofaQatar_EN)Tweet by @MofaQatar_EN
শনিবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর নতুন হামলার পর সীমান্তে সংঘর্ষ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। নতুন করে হামলার পর, দুই দেশ কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছবে, আদৌ পরিস্থিতি বিচারে সদর্থক সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজি হবে কি না, তা নিয়ে ভাবনা ছিল নানা মহলে। বৈঠক বসেও তৃতীয় দেশের রাজধানীতে। ভারতীয় সময় রবিবার জানা গেল, শনিবারের মধ্যরাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান রাজি হয়েছে সংঘর্ষবিরতিতে। অর্থাৎ বৈঠক সদর্থক, ফলপ্রসূ হয়েছে।
কাতারের দোহায় বসেছিল শান্তি বৈঠক। রবিবার সকালে কাতার বিদেশমন্ত্রক এই মর্মে বিবৃতি জারি করেছে। জানানো হয়েছে, দুই দেশ রাজি হয়েছে 'ইমিডিয়েট সিজফায়ার'-এ।

কাতার বিদেশ মন্ত্রক ভারতীয় সময় রবিবার বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, কাতার এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে। এই সংঘর্ষবিরতি'কে স্থায়ী করতে দুই দেশ বৈঠকে বসবে আগামী দিনে। নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেও আলোচনা করবে দুই দেশ।
দোহা-বৈঠকে দু'দেশের পক্ষ থেকে হাজির হয়েছিলেন দু'দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। আফগানিস্তানের মুল্লাহ্ মহম্মদ ইয়াকুব, অর্থাৎ সে দেশের তালিবান সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং পাকিস্তানের শাহবাজ সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা মহম্মদ আসিফ উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
পাক-আফগান যুদ্ধ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, দুই দেশ দুই দেশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। একদিকে পাকিস্তান অভিযোগ তুলেছিল, আফগানভূমে মদত দেওয়া হয় সন্ত্রাসীদের, আফগানিস্তান কেবল তা অস্বীকারই করেনি, উলটে একই অভিযোগ আনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। মাঝে বুধবার দুই দেশ ৪৮ ঘণ্টা সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছিল। সেই ৪৮ঘণ্টার সময়সীমা পেরিয়ে যেতেই উত্তেজনা ছড়ায় নতুন করে।
শুক্রবার রাতে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে আকাশপথে হামলা চালানো হয়। তাতে একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। আফগান ক্রিকেট বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয় শনিবার, ‘পাকতিকা প্রদেশের উরগুন জেলার ক্রিকেটারদের উপর কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। তাঁরা শহিদ হয়েছেন। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই ঘটনায় গভীর ভাবে শোকাহত। উরগুন জেলার তিন ক্রিকেটার এবং আরও পাঁচ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সাত জন জখম। এই ক্রিকেটাররা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে এর আগে পাকতিকার রাজধানী শারানায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পরেই তাঁদের নিশানা করা হয়।’
বোর্ডের তরফে আরও বলা হয়, ‘আফগানিস্তানের ক্রীড়াজগতে এটা অপূরণীয় ক্ষতি। ওঁদের পরিবারের প্রতি এবং পাকতিকার মানুষের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী নভেম্বরে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজে খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের, তাতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান বোর্ড।’
