আজকাল ওয়েবডেস্ক: এমনিতেই চিনের বাজারে চিকুনগুনিয়া রোগ তার প্রভাব দেখাচ্ছে। ইতিমধ্যে সেখানে ৩ হাজারের বেশি মানুষ এই রোগের ফলে আক্রান্ত। হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। তবে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এবার হাজির হল নতুন একটি ভাইরাস।


চিনের বাজারে ফের দেখা গিয়েছে নতুন একটি ভাইরাস। এটিও মশাবাহিত ভাইরাস বলেই জানা গিয়েছে। এই ভাইরাস বিগত দুই দশক ধরে আসা চিনে নতুন ভাইরাসগুলির মধ্যে অন্যতম। চিনের গুনঝুয়াং প্রদেশ এবং হংকংয়ে এই ভাইরাস প্রথম ধরা পড়েছে। যেহেতু এটি মশাবাহিত তাই সেখান থেকে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। প্রথম একে চিকুনগুনিয়া বলে মনে করা হলেও পরে দেখা গিয়েছে সেটি একেবারে নয়।


এমনিতেই চিনের বাজারে যেকোনও রোগ অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেখানকার মানুষদের জীবনযাত্রা এর জন্য বিরাট দায়ী। সেখান থেকে দেখতে হলে মশাবাহিত নতুন রোগ সবথেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চিনে। মশাকে নিরোধ করার নানা উপায় থাকলেও সেখান থেকে কিছুতেই মুক্তি মেলে না। যেভাবে চিনের বিভিন্ন প্রান্তে জল নিকাশীর সমস্যা রয়েছে সেখান থেকে মশাবাহিত রোগ অনেক বেশি হয়েছে।


১৯৫২ সালে চিকুনগুনিয়া প্রথম দেখা গিয়েছিল তানজানিয়াতে। এটি একটি মশাবাহিত রোগ। ফলে সেখান থেকে একে নিয়ে বিরাট সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে নতুন এই মশাবাহিত রোগকে কীভাবে সামলাবে তা নিয়েই এখন হিমসিম খাচ্ছে চিনের চিকিৎসকরা।


চিনে মশাবাহিত রোগগুলির মধ্যে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, জাপানিজ এনসেফালাইটিস এবং জিকা ভাইরাস উল্লেখযোগ্য। চিন ম্যালেরিয়ামুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেলেও, অন্যান্য মশাবাহিত রোগ এখনও একটি উদ্বেগের বিষয়। 


ম্যালেরিয়া: এটি একটি পরজীবী ঘটিত রোগ যা স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। 
ডেঙ্গু: ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। 
জাপানিজ এনসেফালাইটিস: এটি একটি ভাইরাসঘটিত রোগ যা কিউলেক্স মশার মাধ্যমে ছড়ায়। 
জিকা ভাইরাস: এটিও একটি ভাইরাসঘটিত রোগ যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়।  এই রোগগুলো প্রতিরোধের জন্য মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা, মশার কামড় এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া এবং রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 

আরও পড়ুন: ১ লাখ টাকা থেকে হতে পারে ১ কোটি! কীভাবে পাবেন এই সোনার খনি


তবে এখনই বিষয়টি নিয়ে বেশি চিন্তা করতে সকলকেই বারণ করা হয়েছে। চিন ইতিমধ্যে এই নতুন ভাইরাস নিয়ে কাজ করছে। তাদের দাবি দ্রুত তারা এর ওষুধ তৈরি করে ফেলবে। তবে যদি এটি দেরি হয় তাহলে সেখান থেকে এই ভাইরাস শুধু চিনে নয়, বিশ্বের অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটা সকলেই জানেন করোনা প্রথম ছড়িয়ে পড়েছিল চিন থেকেই। আর যদি সেই পথেই নতুন এই ভাইরাস চলে যায় তাহলে সেখান থেকে নতুন করে সমস্যা তৈরি হবে। তাই এই মশাবাহিত ভাইরাসকে রোখার জন্য দ্রুত কাজ করছে চিন। তারা মনে করছে করোনার মতো পরিস্থিতি এবার হবে না। যেহেতু এটি একটি মশাবাহিত রোগ, তাই তারা অতি সহজেই একে সামলে নিতে পারবে। তবে কথায় আছে সাবধানের মার নেই। তাহলে কোন দিক এবার চিনের ভাইরাস খেলা দেখায় সেদিকে তাকিয়ে সকলেই।