আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্লাস্টিকের ক্ষতিকারক অংশ মিশে যাচ্ছে বিভিন্ন পশুর খাবারে। নিজের অজান্তেই সেই খাবার খেয়ে নিচ্ছে পশুরা। এরপর সেই প্রাণীকে যদি মানুষ খেয়ে ফেলে তাহলে সেখান থেকে সেই ব্যাকটেকিয়া সরাসরি চলে যাচ্ছে মানুষের পেটে। তৈরি করছে নিত্যনতুন রোগের বাহার।
নতুন তথ্য থেকে দেখা গিয়েছে ই কোলাই ব্যাকটেরিয়া তৈরি হচ্ছে এইভাবেই। সেখানে ন্যানোপ্লাস্টিক বা প্লাস্টিকের ছোটো অংশ অতি সহজেই মিশছে বিভিন্ন খাবারে। সেখান থেকে তৈরি হয়েছে এই ধরণের ব্যাকটেরিয়া। মার্কিন দেশে এই ধরণের রোগ অনেক বেশি করে ছড়িয়ে পড়ছে।
ই কোলাই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হয়ে ভয়ঙ্কর অসুখ হতে পারে। সাম্প্রতিক সংক্রমণটি হচ্ছে অর্গ্যানিক গাজর থেকে, এমনটাই দাবি চিকিৎসক মহলের একাংশের। অতীতেও একবার ই-কোলাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে ছড়াচ্ছিল। তখন মনে করা হয়েছিল ফুড চেন ম্যাকডোনাল্ডে পরিবেশিত পেঁয়াজ থেকেই ছড়িয়েছে ভাইরাস।
এই ব্যাকটেরিয়া থাকে অন্ত্রে। মানুষ ও পশু উভয়ের পেটেই এই ভাইরাস থাকে। এই ব্যাকটেরিয়ার বেশিরভাগ স্ট্রেনই ক্ষতিকর নয়। তবে কয়েকটি মারাত্মক ক্ষতিকারক। হজমের সমস্যা তো বটেই, পেটের অসহ্য যন্ত্রণার কারণ হতে পারে। প্যাথোজেনিক স্ট্রেন এতটাই ক্ষতিকারক যে নানা জটিল রোগের কারণও হতে পারে।
এই ব্যাকটেরিয়ার বেশিরভাগ স্ট্রেনই পাচনক্রিয়ায় সহায়ক। খাদ্য হজম করকতে ও কিছু ভিটামিন তৈরি করতে সাহায্য করে এই ব্যাকটেরিয়া। তবে ই কোলাই O157:H7 হতে পারে মারাত্মক ক্ষতিকারক।
এই রোগ কোথা থেকে ছড়াতে পারে সেগুলি একবার দেখে নেওয়া যাক।
সংক্রমিত রোগীর সংস্পর্শে
খাবার ও জল থেকে
এমন পশুর মাংস থেকে যার অন্ত্রে ক্ষতিকারক ই কোলাই স্ট্রেন আছে
কাঁচা শাক সবজি থেকে
অপরিশোধিত, অপরিষ্কার খাবার দাবার থেকে
দুগ্ধজাত খাবার থেকে
ই কোলাই আক্রান্ত ব্যক্তি যদি শৌচাগারে গিয়ে হাত পরিষ্কার না করে মেলামেশা করেন, তাহলে
সুইমিং পুলে স্নান করলে
সাধারণত সংক্রমিত হওয়ার ৩-৪ দিনের পর উপসর্গ দেখা যায়। যেমন- জ্বর, পেটে ব্যথা, বমি, গায়ে হাত পায়ে যন্ত্রণা। যার পরিণাম রক্তের লোহিত কণিকা ধ্বংস হওয়া। এছাড়া খুব খারাপ পরিস্থিতিতে কিডনি ফেলইয়রও হতে পারে। ই কোলাই ব্যাকটেরিয়ার থাবা সহজে ছাড়তে চায় না। এর ক্ষত খুব গভীর। আপাত সেরে ওঠার বহুদিন পরেও ডায়ারিয়া, ইরিটেবল বাওল সিনড্রোমের মতো উপসর্গ দেখা যায়।
