আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিটি বাড়িতেই যে খাবারটি সকলের মনে থাকে সেটি হল দুধ। এটি হল এমন একটি খাদ্য যে শিশুদের দেহকে ছোটোবেলা থেকেই পুষ্টি দান করে। তবে শুধু ছোটোদের বলে নয়, বড়দের ক্ষেত্রেও দুধের বিকল্প নেই। তবে এবার এই খাদ্য নিয়ে অবাক করা গবেষণা সামনে এল।
দেহের সুষম আহারের পাশাপাশি দুই দেহের মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাকটেরিয়াকে অতি সহজে নিধন করে থাকে। এগুলিকে মারতে হলে যে পরিমান ওষুধের দরকার হয় সেটি একেবারে কমিয়ে ফেলতে পারে দুধ। ফলে এবার দুধের নতুন এই পুষ্টিগুন দেহকে নতুন করে এনার্জি দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দেহকে তৈরি করার ক্ষেত্রে দুধের বিকল্প নেই। তবে দেহে এমন কয়েকটি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যারা ধীরে ধীরে দেহকে শেষ করে দিতে পারে। আর এই কাজকে অতি সহজেই ধ্বংস করতে পারে দুধ। দেহ থেকে অতি সহজেই এই ধরণের ব্যাকটেরিয়াকে সরিয়ে ফেলতে পারে দুধ।
দুধের মধ্যে এমন এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া থাকে যা এই ধরণের মারণ ব্যাকটেরিয়াকে অতি সহজেই শেষ করতে পারে। এটি অনেকটা বিষে বিষে বিষক্ষয়ের মতো কাজ করে থাকে। দুধ যখন পেটে যায় তখন তার থেকে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় যা দেহের এই মারণ ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে। আর এখানেই দুধের উপকারিতা।
গবেষকরা মনে করছেন, দেহের সুগার এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে দুধের বিকল্প নেই। এটি অতি সহজেই এই দুটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। দুধের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া দেহের মধ্যে এমন অনেক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে শেষ করে দিতে পারে যেগুলি মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নিয়ে বহন করে চলেছে। এমনটি দুধ দিয়ে তৈরি করা ছানাতেও এই ধরণের ব্যাকটেরিয়া থাকে। ফলে সেখান থেকেও সঠিক পরিমানে পুষ্টি পেতে পারে দেহ।
সাধারণত একটি বয়সের পর মানুষ আর দুধ খায় না। তবে সেটি তার জীবনের একটি বড় ভুল। যদি নিয়মিত দুধের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারেন তাহলে অতি সহজেই বেশ কয়েকটি মারণ ব্যাকটেরিয়াকে অতি সহজেই কাবু করতে পারবেন।
