আজকাল ওয়েবডেস্ক: আলাস্কায় তখন পুতিনের সঙ্গে বৈঠক চলছে ট্রাম্পের। তার মাঝেই হটাৎ একটি চিঠি রুশ প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কৌতুহলী উপস্থিত সকলে। সেখানে কী লেখা রয়েছে? জানা গিয়েছে, স্ত্রী মেলানিয়া ভ্লাদিমির পুতিনকে চিঠি দিয়েছেন।  সেই চিঠিই ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্টের হাতে দিয়েছেন। 

চিঠি বিষয়বস্তু কী?
প্রায় চার বছর ধরে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। বিপন্ন শিশুরা। বহু শিশু অপহৃত হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, পুতিনকে লেখা মেলানিয়া ট্রাম্পের চিঠিতে ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান শিশুদের দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়েছে। চিঠিতে বারবার জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, হাজার হাজার ইউক্রেনীয় শিশুকে তাদের বাবা-মা বা অভিভাবকদের অনুমোদন ছাড়াই তাদের দেশ থেকে অপসারণ করা যুদ্ধাপরাধ।

রাশিয়ান বাহিনী কর্তৃক ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণ কিয়েভের জন্য একটি গভীর সংবেদনশীল বিষয়। ইউক্রেন রাশিয়াকে অবৈধভাবে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় শিশুর জোরপূর্বক নির্বাসনে পাঠানোর অভিযোগ করেছে। তবে রাশিয়া "অপহরণ" অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে, তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এবং যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে বাঁচানোর জন্য স্থানান্তর করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন- ৩০ লক্ষ কুকুর মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছে এই মুসলিম দেশ, কেন এত নিষ্ঠুর পদক্ষেপ?

কিয়েভের মতে, আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে লক্ষ লক্ষ শিশুকে রাশিয়া বা রাশিয়া-অধিকৃত ক্রিমিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি অভিযোগ করেছে যে, এই শিশুদের অনেককে প্রতিষ্ঠান এবং হোমে রাখা হয়েছে।

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রায় চার বছর।  ২০২৩ সালের মার্চ মাসে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইউক্রেনীয় শিশুদের বেআইনিভাবে নির্বাসনের যুদ্ধাপরাধের জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঘোষণা করেছিল। সেই সময়ে, রাশিয়ার শিশু অধিকার বিষয়ক কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও একই রকম অভিযোগে আরেকটি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে- চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে, মস্কো হাজার হাজার ইউক্রেনীয় শিশুকে "চুরি" করেছে এবং তাদের রাশিয়ায় নিয়ে গিয়েছে। 

রাশিয়া এই অভিযোগগুলিকে তীব্রভাবে অস্বীকার করেছে। তাছাড়া, যেহেতু রাশিয়া আইসিসির সদস্য নয়, তাই দেশটি গ্রেপ্তারি পরোয়ার বৈধতা খারিজ করে দিয়েছে এবং এটিকে "অকার্যকর" বলে অভিহিত করেছে।

সেই সবের পর রুশ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই প্রথম বৈঠক করেন। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে এই বৈঠকে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে দুই রাষ্ট্রনেতার দাবি, বৈঠক 'ফলপ্রসূ' হয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এর পর বাকি দায়িত্ব ইউক্রেনের প্রেসি়ডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। তাঁকে পুতিনের সঙ্গে চুক্তি করার পরামর্শও দিয়েছেন ট্রাম্প। শীঘ্রই পুতিন এবং জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক হতে পারে। তাতে ট্রাম্পও উপস্থিত থাকতে পারেন।