আজকাল ওয়েবডেস্ক: এখন শীতের সময় থাকলেও পরবর্তী সময়ে ফের ফিরবে গরম। তারপর হবে বৃষ্টি। আর এখানেই ফের একবার নিজের খেল দেখাতে পারে লা নিনা। অস্ট্রেলিয়া থেকে বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা তাই এখন থেকেই চিন্তিত। যেভাবে আগের বছরে এর প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের জলের স্তর বেড়েছে তাতে বিষয়টি মোটেই হাল্কাভাবে নিচ্ছেন না তারা। 


লা নিনার সরাসরি প্রভাব এবারে পড়বে শীতকালে এবং তারপর গরমকালে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২৪ সালে যারা মনে করেছিলেন লা নিনা বিদায় নেবে তারা কিন্তু ভুল করেছেন। ২০২৫ সালে ফের ফিরবে না নিনা। এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে এল নিনাও। ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন সমুদ্রতীরের দেশগুলিতে সরাসরি এর প্রভাব পড়বে। 

 


অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে লা নিনা। আবহবিদরা মন করছেন প্রশান্ত মহাসাগরের জল আরও বেশি গরম হতে শুরু করবে। ফলে অস্ট্রেলিয়াতে গরমের পরিমান বাড়বে। পাশাপাশি বর্ষার সময় যে পরিমান বৃষ্টি হবে তাকেও অন্যবারের থেকে আলাদা বলেই মনে করা হবে। যেসব দেশ কৃষির উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল তারা এরফলে জলের সমস্যায় পড়তে পারেন। যেহেতু এল নিনা এবং লা নিনার সময় একে অপরের পর তাই এরা দুজনেই কয়েক মাসের মধ্যে নিজেদের কাজ করবে।

 


শীতের উপর লা নিনা কী প্রভাব বিস্তার করবে তা চলতি বছরের শীতের পরই জানা যাবে। তবে ২০২৫ সাল লা নিনা যে নতুনভাবে সকলের সামনে আসতে পারে সেদিকে সকলেই একমত। এবারের গরমে অন্যবারের তুলনায় গরম বেশি থাকবে। সূর্যের তাপ অনেক বেশি ভোগাবে সকলকে। ফলে সমুদ্র থেকে ঝুর্ণিঝড় অনেক বেশি তৈরি হবে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে বিশ্ব উষ্ণায়নের উপর।