আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইরানের একাধিক সরকারি লক্ষ্যবস্তু, ঘাঁটি এবং পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলের। স্বীকার করা হয়েছে, এবং জানানো হয়েছে নির্দিষ্ট কারণ। ইরানের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে কোনও বার্তা পাওয়া যায়নি। তবে এই উদ্বেগের পরিস্থিতিতে, ইজরায়েলে থাকা সমস্ত ভারতীয়দের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস।

 

ইজরায়েলের ভারতীয় দূতাবাস বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, 'বর্তমান পরিস্থিতি পরিপ্রেক্ষিতে ইজরায়েলে থাকা সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার এবং ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ এবং হোম ফ্রন্ট কমান্ডের  পরামর্শ অনুসারে সুরক্ষা প্রোটোকল মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দয়া করে সাবধানতা অবলম্বন করুন, দেশের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন এবং সুরক্ষা আশ্রয়কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকুন।'

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">June 13, 2025

পর পর বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে ইরান। পরিস্থিতি বিচারে জরুরি অবস্থা জারি সেখানে। ইতিমধ্যে হামলার বিষয়ে আইডিএফ মুখপাত্র বিজি এফি ডিফ্রিন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, এই হামলা মূলত আত্মরক্ষার জন্য। নিজেদের রক্ষা, নিজেদের সন্তানদের রক্ষার উদ্দেশেই এই পূর্বপ্রস্তুতিমূলক হামলা। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস জানিয়েছে, ইরান সরকারের হাতে গণবিধ্বংসী অস্ত্র ইজরায়েল রাষ্ট্র এবং বৃহত্তর বিশ্বের জন্য বড় হুমকি। প্রথম ধাপে হামলা চালিয়েছে আইএএফ জেট বিমান। লক্ষ্য ছিল ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলের সামরিক লক্ষ্যবস্তু, ঘাঁটি এবং পরমাণু ঘাঁটি। 

ইরানি হামলার আশঙ্কা দূর করতে, যত সময় লাগবে, ততদিন পর্যন্ত চলবে অভিযান, সাফ জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু। অন্যদিকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে আমেরিকা। ইরানের উপর হামলার পরেই রুবিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিবৃতিতে, এই হামলায় কোনওভাবেই জড়িত নয় আমেরিকা। 

 

এই পরিস্থিতিতে দিল্লি বিমানবন্দর একটি বিবৃতি জারি করেছে। তাতে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দরে সব ঠিক থাকলেও, ইরান-ইরাক আকশপথ পরিস্থিতি উদ্বেগের হওয়ায় বেশকিছু বিমান চলাচলে তার প্রভাব পড়তে পারে। যাত্রীদের নির্দিষ্ট তথ্য পেতে বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।