আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে কি আমেরিকা এবার সরাসরি জড়িয়ে পড়ছে? ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরেই ধেয়ে গিয়েছিল প্রশ্ন। এবার কি আমেরিকা সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে? হামলা চালাবে ইরানে? বুধবার হোয়াইট হাউসের সামনে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, 'করতেও পারি, না ও করতে পারি।' এক সপ্তাহে গোটা ছবিটা পালটে যেতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন। তবে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আমেরিকার আপাতত আগামী দু' সপ্তাহের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি বিচারে আমী দু' সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ প্রসঙ্গে বেশকিছু কথা বলেন ট্রাম্প। জানান, গত সপ্তাহের থেকে এই সপ্তাহে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে অনেক। আগামী একসপ্তাহ খুব জরুরি। আবার বলেন হয়তো এক সপ্তাহ লাগবে না। তবে এই প্রসঙ্গে ইরানের সঙ্গে যে আমেরিকার কথাবার্তা শেষ তাও স্পষ্ট করে বলেন। এদিন ট্রাম্প জানান, ইরানের একাধিক সমস্যা রয়েছে। তারা কথা বলতে চেয়েছিল আমেরিকার সঙ্গে। তবে হোয়াইট হাউস সাফ জানিয়েছে, আলাপ-আলোচনার জন্য অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, তিনি ১৫ বছর আগেই বলেছিলেন, ইরানকে পরমাণু বোমা বানাতে দেওয়া উচিত নয় কখনওই।
অন্যদিকে, একাধিক সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, তার ধীর অর্থনীতির মধ্যে ইরান থেকে তেল ও গ্যাসের মতো জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য, চীন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানকে সমর্থন করছে। ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালানোর পরেই কড়া অবস্থান জানিয়েছে রাশিয়াও। সতর্ক করেছে ইজরায়েলকে।
