আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ না করলে ভারতকে "ব্যাপক" শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে, ফের হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। তখনই মোদি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে, নয়াদিল্লি এই ধরনের আমদানি বন্ধ করবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, "আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন যে- ভারত রাশিয়ান হর সঙ্গে আর তেল বাণিজ্য করবে না। কিন্তু তারা যদি তেল কিনতে থাকে, তাহলে ব্যাপক শুল্ক বসানো হবে।" অর্থাৎ ট্রাম্প গত সপ্তাহে যা বলেছিলেন তারই পুনরাবৃত্তি করলেন।
#Watch | India Will Continue Paying Massive Tariffs Over "Russian Oil", Says Trumphttps://t.co/NAO2NSxOmT pic.twitter.com/t0QHoc3Z8b
— NDTV WORLD (@NDTVWORLD)Tweet by @NDTVWORLD
যদিও ভারত গত সপ্তাহেই ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, রাশিয়ান তেল আমদানি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কোনও কথা হয়নি। বৃহস্পতিবার এক সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন যে- তিনি আগের দিন ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে "কোনও কথোপকথনের বিষয়ে অবগত নন।"
মুখপাত্র এও বলেন যে, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জ্বালানি সম্পর্ক গভীর করার বিষয়ে ধারাবাহিক আলোচনা চলছে।" তবে ভারত তার আমদানি কৌশল পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করছে কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না বলেননি। তেমনই নিশ্চিত করেননি যে, নতুন দিল্লি রাশিয়ার তেল ক্রয় বন্ধ করতে রাজি হয়েছে কিনা।
ভারতের উপর মার্কিন শুল্ক
ভারতের উপর ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্ষেত্রে ভারত তাদের পণ্যের উপর বেশি শুল্ক চাপায় বলে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে। বাদবাকি ২৫ শতাংশ চাপানো হয়েছে রাশিয়ার থেকে তেল কেনার শাস্তি হিসেবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনে করেন, ভারত পুতিনের দেশ থেকে তেল কেনা বন্ধ না করলে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব নয়। এই তেলের টাকাতেই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। তার ফলে রোজ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
যদিও ট্রাম্পের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি আগেই জানিয়েছে যে, ভারত কোনও যুদ্ধ সমর্থন করে না। শুধু রাশিয়ার তেলের দাম কম বলেই, সেখান থেকে কেনা হচ্ছে। এর পিছনে আর কোনও উদ্দেশ্য নেই। ভারতের পক্ষ থেকে এও অভিযোগ যে, শুধু ভারতই নয়- আমেরিকা ও ইউরোপের বহু দেসেরই রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চলে। যদিও সেই কথায় কান দেয়নি ওয়াশিংটন। বরং বারবার তাদের পক্ষ থেকে ভারতকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বাড়তি শুল্ক চাপানোর।
গাজা শান্তি চুক্তি নিয়ে ট্রাম্পের প্রশংসা করেছিলেন মোদি। সেই মতো ট্রাম্পও তাঁর 'বন্ধু'র নাম নিতে ভোলেননি। কিন্তু ফের ছন্দপতন। ভারতকে শুল্ল হুমকি দিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
আরও পড়ুন- লেহ-এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ নিয়ে তদন্তে স্থানীয় প্রতিনিধি দাবি লাদাখের নাগরিক সমাজের
