আজকাল ওয়েবডেস্ক: যখন বিজ্ঞান এবং মহাকাশের বিষয়টি সকলের নজরে আসে তখন সকল ভারতীয়র মনে আসে একটি নাম। সুনীতা উইলিয়ামস। পৃথিবীর বাইরের রহস্য সামনে আনতে প্রতিটি মহাকাশবিজ্ঞানীরা দিনরাত এক করে কাজ করছেন। সেই তালিকায় ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন সুনীতা ইউলিয়ামস। যেখানে ভরের মাত্রা শূন্য হয়ে যায় সেখানে মাসের পর মাস কীভাবে দিন কাটান মহাকাশবিজ্ঞানীরা। সেখান থেকে পৃথিবীর নানা ছবি তুলে তারা পাঠিয়ে দেন।
এই কাজ কোনও সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য দরকার সঠিক প্রশিক্ষণ এবং প্রতিভা। সুনীতা উইলিয়ামস বর্তমানে ৩২২ দিন ধরে মহাকাশে ভেসে রয়েছেন। চলতি বছরের জুন মাস থেকে তিনি এবং তার সঙ্গী মহাকাশে দিন কাটিয়ে চলেছেন। এতদিন ধরে কোনও মহাকাশবিজ্ঞানী এর আগে মহাকাশে ভেসে থাকেননি। তাদের যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে সেটিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হলেও মহাকাশের স্পেশ স্টেশনে থেকে গিয়েছেন সুনীতা এবং তার সঙ্গী।
১৯৯৮ সালে নাসার বিজ্ঞানী হিসাবে প্রথম কাজের সুযোগ পান সুনীতা উইলিয়ামস। এরপর তিনি দুটি মহাকাশ অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি একমাত্র মহিলা মহাকাশচারী যিনি অগনিত সময় মহাকাশের বুকে ভেসে বেড়িয়েছেন এবং সেখানকার রহস্য সামনে এনেছেন। বর্তমানে নিজের সঙ্গী বুচ উইলমোরের সঙ্গে তিনি বোয়িংয়ের স্টারলাইন মহাকাশযানে রয়েছেন। নাসার খবর অনুসারে সুনীতা উইলিয়ামস হয়তো ২০২৫ সালেই ফের পৃথিবীতে ফিরতে পারেন। সেজন্য এখন জোরকদমে কাজ করছে নাসার অন্য বিজ্ঞানীরা। এবার আসি সুনীতা উইলিয়ামসের বেতনের কথায়। তিনটি ধাপে নাসা সুনীতা সহ অন্য মহাকাশচারীদের বেতন দিয়ে থাকেন।
প্রথম স্কেল রয়েছে ৮১,২১৬ মার্কিন ডলার থেকে শুরু করে ১০৫,৫৭৯ মার্কিন ডলারে।
দ্বিতীয় স্কেল রয়েছে ৯৫,৯৭৩ মার্কিন ডলার থেকে শুরু করে ১২৪,৭৬৪ মার্কিন ডলারে।
তৃতীয় স্কেল রয়েছে ১৪৬,৭৫৭ মার্কিন ডলারে। এই সমস্ত টাকাই বার্ষিক হিসাবে পান সুনীতা উইলিয়ামস।
এখানেই শেষ নয়। নাসা আরও কিছু সুবিধা দেন সুনীতা উইলিয়ামসকে। তার স্বাস্থ্য বিমা করা রয়েছে যে টাকা দেয় নাসা। মহাকাশের জন্য তাকে বিনা পয়সায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে নাসা। তার পরিবারের যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে তার দায়িত্ব নিয়েছে নাসা। বিশ্বের যেকোনও দেশে নিখরচায় ভ্রমণ করতে পারেন সুনীতা।
