আজকাল ওয়েবডেস্ক: সমাজের বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে রয়েছে জীবানু। সেগুলির মধ্যে এমন ক্ষমতা থাকে যে সেখান থেকে অনেক সময় ওষুধ ফেল করে যায়। এমনকি দেখা গিয়েছে শক্তিশালী ওষুধকেও ফেল করিয়েছে এই জীবানুগুলি।
ইন্সটিটিউট অফ হাইব্রিডোলজির একদল গবেষক জানিয়েছেন সিগারেট থেকে পরিবেশ যেমন দূষিত হয়ে যায় ঠিক তেমনভাবে ফেলে দেওয়া সিগারেট থেকেও ছড়িয়ে পড়ে নানা ধরণের জীবানু। এই জীবানুরা অনেক সময় এতটাই শক্তিশালী হয়ে থাকে যে এরা ওষুধকেও হার মানাতে পারে। অতি দ্রুত এই জীবানু মানুষের ফুসফুসে সরাসরি আক্রমণ করতে পারে।
প্রতিটি বছর বহু মানুষ ধূমপানের ফলে মারা যান। তবে এবার নতুন এই জীবানু যে সকলের কাছে বাড়তি মাথাব্যাথার কারণ হবে সেটা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি চিনে এই ধরণের নতুন জীবানুর বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা গেছে। চিনের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, যারা ধূমপান করেন তারা তার অংশ যেখানে সেখানে ফেলে দিয়ে থাকেন। সেখান থেকেই জন্ম নিয়েছে এই নতুন জীবানু। এটি অতি দ্রুত বাতাসে মিশতে পারে। ফলে সেখান থেকে দ্রুত দেহে প্রবেশ করতে সক্ষম।
গবেষকরা মনে করছেন জলের স্পর্শ পেলে এই জীবানুরা অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে যায়। ফলে ঘরের সিগারেট ফেলার জায়গায় যদি জল দিয়ে রাখেন তাহলে সেখান থেকে অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে এই জীবানু।
এরা এতটাই শক্তিশালী হয়ে থাকে যে সেখান থেকে এরা যেকোনও ধরণের ওষুধকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। ফলে এদের প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে। যদিও এবিষয়ে আরও তথ্যের প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন গবেষকরা। তবে নতুন ধরণের এই জীবানুরা ফুসফুসের যে ক্ষতিসাধন করছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
যারা ধূপমান করেন তাদেরকে ফেলে দেওয়া সিগারেট নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যেন কোনওভাবেই সেগুলি এমন জায়গায় না ফেলে হয় যেখানে আবর্জনা রয়েছে। পাশাপাশি ঘরের ভিতর বা চারপাশে যেন এই সিগারেটের অংশ না থাকে। তাহলে সেখান থেকে অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে এই জীবানু।
