আজকাল ওয়েবডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী হামলাগুলি ঠান্ডা মাথায় নির্ভুলভাবে এবং আবেগপ্রবণ না হয়ে সম্পন্ন করা হয়। যাঁরা এই হামলাগুলি করেন তাঁদের মনে কোনও দ্বিধা থাকে মা, কোনও ভয় থাকে না এমনকি কোনও ব্যথাও অনুভব করেন না। সন্ত্রাসবাদীরা এই ধরণের ধ্বংসাত্মক ভূমিকা পালনের জন্য প্রশিক্ষিত হলেও, আরও একটি কারণে তাঁদের মাথা ঠাণ্ডা থাকে জঙ্গি হানাগুলির সময়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জঙ্গিরা নিজেদের অপারেশনের আগে ক্যাপ্টাগন নামে একটি ওষুধ সেবন করে। জানা গিয়েছে এই ওষুধটি তাঁদের ক্লান্তি, ক্ষুধা, ঘুম এবং এমনকি ভয়ের অনুভূতিকেও কমিয়ে দেয়।
ক্যাপ্টাগন নামের ওষুধটি প্রথমে অ্যাম্ফিটামাইন এবং মেথামফেটামাইনের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। যা নারকোলেপসি, ক্লান্তি এবং কিছু মস্তিষ্কের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হত।
Drug.com-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ডেক্সাঅ্যাম্ফিটামাইন নামক একটি ওষুধ ইতিমধ্যেই সামরিক বাহিনী দ্বারা সৈন্যদের 'সাহস ও সাহসিকতা বৃদ্ধি' এবং দীর্ঘ সময় ধরে জেগে থাকার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
নতুন ওষুধ ক্যাপটাগন পূর্ববর্তী ব্যবহৃত ওষুধগুলির একটি মৃদু সংস্করণ হওয়ার কথা ছিল। ওষুধের অপব্যবহারের কারণে, মার্কিন সরকার ১৯৮০ সালে এটিকে একটি নিয়ন্ত্রিত ড্রাগ হিসেবে ঘোষণা করে। এরপরেই এর উৎপাদনও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জঙ্গিদের মধ্যে এর ব্যাপক ব্যবহারের কারণে, ক্যাপ্টাগন ড্রাগটিকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম 'সিরিয়া যুদ্ধে জ্বালানি যোগানদাতা অ্যাম্ফেটামিন' বা 'জিহাদিদের মাদক' হিসেবে প্রচার করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের হামলায় জড়িত জঙ্গিদের কাছ থেকে এবং ২০১৫ সালে ফ্রান্সে প্যারিস হামলায় জড়িত আইসিস জঙ্গিদের কাছ থেকেও মাদকটি উদ্ধার করা হয়েছিল।
