আজকাল ওয়েবডেস্ক: সময় শেষ হয়ে আসছে। গ্রিনল্যান্ডের তিমিরা এবার সেই ইঙ্গিত দিল। সম্প্রতি একদল ফটোগ্রাফার সেখানে ছবি তুলতে গিয়েছিল। তারা হঠাৎ করেই এই তিমিদের দেখতে পায়। মানুষ দেখামাত্রই তিমিরা তাদের কাছে চলে আসে। শুরু হয় ছবি তোলার পালা। এখানেই শেষ নয়, তিমিরা তাদেরকে পথ দেখিয়ে সোজা নিয়ে চলে গেল সেই স্থানে যেখানে বরফের পাহাড় গলে মিশছে জলের সঙ্গে। সেই ছবিও দ্রুত ক্যামেরাবন্দি করতে ভোলেননি পর্যটকরা। 


এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই আশেপাশের সমস্ত স্থানে বিরাট হইচই শুরু হয়ে যায়। যেভাবে তিমিরা বরফ দেখিয়েছে তা দেখে একেবারে মাথায় হাত গবেষকদের। তারা সঙ্গে সঙ্গেই গ্রিনল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি করে দেন। এই এলাকায় যাতে কেউ না যায় সেবিষয়ে নির্দেশও জারি করা হয়।


বরফের জলে গলে যাওয়া নতুন কিছু নয়। তবে এবার বরফের পাহাড় গলছে। একে রোখা প্রায় অসম্ভব। তাই ধারেকাছে যাতে কেউ না যায় সেদিকে চোখ রাখা হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে তারা বহুদিন ধরেই এবিষয়ে জানতেন। তবে কেউ গ্রাহ্য করেনি। এবার এই ছবি সামনে আসার পরই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। 


বরফে যদি জলের মাত্রা বাড়ে তাহলে সেখান থেকে আশেপাশের সমস্ত জমি জলের গর্ভে তলিয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এই নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এবার গ্রিনল্যান্ডের ক্ষেত্রে জারি করা হল সতর্কতা। সেখানে আগামীদিনে যাতে কোনও পর্যটক না যান সেদিকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।


তবে তিমিদের প্রশংসা না করে থাকতে পারেননি বিজ্ঞানীমহল। তারাও এই পৃথিবীর প্রাণী। তারা যেভাবে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে তাতে সকলেই খুশি। সমুদ্রের জল ইতিমধ্যেই দূষিত হয়েছে। তারই মধ্যে তারা নিজেদের জীবনধারণ করে রয়েছে। আর এবার এই ছবি দেখিয়ে তারাও যে স্পষ্ট করে বলে দিল শেষের সেই দিনের সূত্রপাত ঘটে গিয়েছে। এবার কী হবে।


তাদের এই বার্তা গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলি এবার কী ব্যবস্থা নেবে সেটা তাদের বিষয়। তবে এই ধ্বংসকে রোখার শক্তি কারও হাতেই নেই। জলের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে, গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমানও বাড়বে। সেখানে জলের প্রাণীরা সুরক্ষিত থাকলেও সবার আগে সমস্যায় পড়বে ডাঙার প্রাণীরা।


পরিবেশ যে হারে বদলে যাচ্ছে তাতে আগামী ১০০ বছরে পৃথিবীর রূপ বদলে যাবে। এখনকার ভুল তখনকার দিনে সর্বনাশ ডেকে নিয়ে আসবে। সেখান থেকে হয়তো বিলুপ্তির পথে চলে যাবে মানবসভ্যতা। যে সতর্কবার্তা তিমিরা দেখিয়েছে তাকে এখনই যদি না বোঝা যায় তাহলে সবার আগে শেষ হবে পানীয় জল। সেখান থেকে হারিয়ে যাবে জীবনের স্পন্দন।