আজকাল ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় একটি সাত তলা অফিস ভবনে আগুন লেগে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এদিন দুপুরের দিকে ভবনটির প্রথম তলায় আগুন লেগে যায় এবং তা দ্রুত উপরের তলায় ছড়িয়ে পড়ে। ঘন ধোঁয়া বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার কারণে অফিসের কর্মীরা ভিতরেই আটকে পড়েন। চলছে উদ্ধারকাজ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী মহিলাও ছিলেন।

সেন্ট্রাল জাকার্তা পুলিশের প্রধান সুসাতিও পুরনোমো কনড্রোর জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ চালাচ্ছি।”

স্থানীয় সম্প্রচারক কমপাস টিভির প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, উপরের তলা থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। দমকলকর্মীরা ভেতরে আটকে যাঁরা আটকে পড়ছেন তাঁদের কাছে পৌঁছনোর জন্য লড়াই করছেন। ঘন কালো ধোঁয়া এলাকাটিকে ছেয়ে গিয়েছে। যার ফলে আশেপাশের বাসিন্দা এবং অফিস কর্মীরা রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। একাধিক মৃতদেহের ব্যাগ জ্বলন্ত ভবন থেকে বের করতে দেখা গিয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ভবনটিতে টেরা ড্রোন ইন্দোনেশিয়ার অফিস রয়েছে। যা খনি থেকে শুরু করে কৃষি পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ড্রোন পরিষেবা প্রদান করে।

নভেম্বরের শেষের দিকে হংকংয়ের সাতটি বহুতল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার চূড়ান্ত পর্যায়ের তল্লাশি অভিযান সম্পন্ন করার পর এই তথ্য দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত ২৬ নভেম্বর উত্তর তাই পো জেলার ওয়াং ফুক হাউসিং কমপ্লেক্সে আটটি বহুতলের সাতটিতে আগুন লেগে যায়। টানা দু’দিন ধরে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। কী ভাবে এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল সেই আগুন, এখন তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে ওই বহুতলের নির্মাণ সামগ্রী। হংকঙের ‘ওয়াং ফুক কোর্ট’ আবাসনে ছিল মোট ২,০০০টি ফ্ল্যাট। তাতে বাস করতেন ৪,৮০০ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বৃদ্ধ।