আজকাল ওয়েবডেস্ক: টেকনোলজি দুনিয়ার অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব ইলন মাস্ক বরাবরই নিজের মতামত প্রকাশ করতে পিছপা হন না।
সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষ করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রায়ই তাঁকে খোলামেলা মন্তব্য করতে দেখা যায়। এবার তিনি বিশ্বব্যাপী সংঘাত এবং যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগজনক মন্তব্য করে আলোড়ন তুললেন।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মাস্ক দাবি করেন, বিশ্ব খুব শীঘ্রই একটি বড় ধরনের সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে। এমনকী, সেটা পারমাণবিক যুদ্ধও হতে পারে।
এই আলোচনাটি ছিল পরমাণু প্রতিরোধক্ষমতা (nuclear deterrence) কীভাবে বৈশ্বিক রাজনীতিকে প্রভাবিত করেছে তা নিয়ে। সেখানে হান্টার অ্যাশ নামের এক ব্যবহারকারী লিখেছিলেন, বড় শক্তিগুলোর মধ্যে যুদ্ধ বা যুদ্ধের হুমকি না থাকায় বিশ্বব্যাপী সরকারগুলো আগের মতো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
হান্টার অ্যাশের সেই যুক্তির জবাবে মাস্ক সংক্ষেপে লেখেন, ‘যুদ্ধ অনিবার্য। ৫ বছর, সর্বোচ্চ ১০।’ অর্থাৎ তার মতে ২০৩০ সালের মধ্যেই বড় ধরনের সংঘাত দেখা দিতে পারে।
তবে তিনি কোন দেশ বা কোন পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেননি, ফলে মন্তব্যটি আরও রহস্য সৃষ্টি করেছে। তবে মাস্কের এই মন্তব্যকে কেউ কেউ অন্য ভাবেও ব্যাখ্যা করছেন।
অনেক ব্যবহারকারীর মতে, বিশ্বের পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাচ্ছে। সরকারগুলোকে ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলায় আরও বেশি করে প্রস্তুতি নিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে Department of Government Efficiency (DOGE)-এর সঙ্গে মাস্কের সম্পৃক্ততা, তার প্রভাব এবং বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে তার আগের সতর্কবার্তাগুলোর কারণেই মন্তব্যটি বিশেষভাবে নজর কেড়েছে।
মাস্কের বক্তব্য ঘিরে প্রশ্ন উঠতেই অনেকে তার কোম্পানি এআই গ্রকের কাছে ব্যাখ্যা চান। জবাবে গ্রক জানায়, মাস্ক অতীতে ইউরোপে সম্ভাব্য অভিবাসন সংকট, পরিচয়ের রাজনীতি ঘিরে গৃহযুদ্ধের ঝুঁকি, তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা, অথবা ইউক্রেন ইস্যুতে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
যদিও মূল আলোচনায় কোনও নির্দিষ্ট সংঘাতের কথা সরাসরি বলা হয়নি। তবে তাইওয়ান, ইউক্রেনসহ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং ইউরোপের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রসঙ্গের দিকে ইঙ্গিত করছে।
বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দিক থেকেই সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ছে। পরমাণু অস্ত্রের বিষয়টি আবারও সামনে আসায় বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন যে পরমাণু প্রতিরোধনীতির ওপর রাষ্ট্রগুলোর আচরণ কতটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, এবং তা ভেঙে পড়লে এর পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে।
