আজকাল ওয়েবডেস্ক:  কুকুরেরা তাদের চারপাশের মানুষের আচরণ এবং শরীরী ভাষা পর্যবেক্ষণ করে ভাল এবং খারাপ মানুষ বুঝতে পারে। তারা মানুষের কণ্ঠস্বর, মুখের ভাব এবং শরীরের অঙ্গভঙ্গি থেকে আবেগ অনুভব করতে পারে এবং সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানায়। এছাড়াও, কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে কুকুররা মানুষের শরীরের গন্ধ থেকেও আবেগ শনাক্ত করতে পারে। 


শারীরিক ভাষা: কুকুররা মানুষের শরীরের ভাষা খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে। তারা মানুষের অঙ্গভঙ্গি, যেমন - হাত নাড়ানো, শরীরের ভঙ্গি, এবং চোখের দিকে তাকিয়ে থাকা ইত্যাদি থেকে মানুষের মেজাজ এবং মনোভাব বুঝতে পারে। 


কণ্ঠস্বর: কুকুরের শ্রবণশক্তি মানুষের চেয়ে অনেক বেশি প্রখর। তারা মানুষের কণ্ঠস্বরের স্বরভঙ্গি এবং টোন থেকে রাগ, আনন্দ, ভয়, ইত্যাদি আবেগ শনাক্ত করতে পারে। 


গন্ধ: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে কুকুর মানুষের শরীরের গন্ধ থেকেও আবেগ শনাক্ত করতে পারে। তারা মানুষের শরীরের ঘাম, নিঃশ্বাস এবং অন্যান্য নিঃসরণের মাধ্যমে তাদের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারে।


আচরণ: কুকুররা মানুষের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে তাদের ভালো বা খারাপ মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে। যদি কোনও ব্যক্তি তাদের প্রতি আগ্রাসী বা নেতিবাচক আচরণ করে, তবে কুকুররা তা বুঝতে পারে এবং তাদের থেকে দূরে থাকতে চায়। 


অভিজ্ঞতা: কুকুরের আগের অভিজ্ঞতাও তাদের মানুষ চিনতে সাহায্য করে। যদি কোনও ব্যক্তি তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকে, তবে সেই অভিজ্ঞতা কুকুরটি মনে রাখতে পারে এবং পরবর্তীতে সেই ব্যক্তির প্রতি সতর্ক থাকতে পারে। কুকুরদের এই ক্ষমতা তাদের মানুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন এবং তাদের চারপাশে কি ঘটছে তা বুঝতে সাহায্য করে।

 

কুকুরের স্বভাব বেশ বৈচিত্র্যময়, যা তাদের প্রজাতি, বয়স, লিঙ্গ, প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে, কুকুর সামাজিক প্রাণী এবং তাদের মধ্যে খেলাধুলা, আনুগত্য, এবং মানুষের প্রতি ভালবাসা দেখা যায়। কিছু কুকুর অন্যদের তুলনায় বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ এবং মিশুক হতে পারে, আবার কিছু প্রজাতি বেশি আত্মবিশ্বাসী বা প্রতিরক্ষামূলক হতে পারে। 


কুকুর খুবই সামাজিক প্রাণী এবং দলবদ্ধভাবে থাকতে পছন্দ করে। তারা মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে এবং তাদের সঙ্গ উপভোগ করে। 


বেশিরভাগ কুকুর খেলাধুলা পছন্দ করে এবং তাদের সঙ্গীর সঙ্গে খেলাধুলা করতে ভালোবাসে। তারা খেলনা, মানুষ বা অন্যান্য কুকুরের সাথে খেলাধুলা করতে পারে। 

আরও পড়ুন: পার্সোনাল লোন নেওয়া জলভাতের সমান, শুধু মানতে হবে এই নিয়মগুলি


কুকুর তাদের মালিকের প্রতি অত্যন্ত অনুগত থাকে এবং তাদের সঙ্গ উপভোগ করে। তারা তাদের মালিকের নির্দেশাবলী পালন করতে এবং তাদের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে। কুকুর সাধারণত প্রশিক্ষণযোগ্য প্রাণী এবং তাদের বিভিন্ন কৌশল শেখানো যেতে পারে। তাদের ইতিবাচক শক্তিবৃদ্ধি (যেমন, খাদ্য বা প্রশংসা) ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ দেওয়া ভালো। 


কুকুর তাদের অঙ্গভঙ্গি, মুখের অভিব্যক্তি, লেজ এবং কান নাড়ানোর মাধ্যমে তাদের মেজাজ এবং অনুভূতি প্রকাশ করে। উদাহরণস্বরূপ, একটি লেজ নাড়ানো বা "প্লে বো" খেলা করার আগ্রহ প্রকাশ করে। কিছু কুকুর ভয় বা আগ্রাসন প্রদর্শন করতে পারে, যা তাদের অতীত অভিজ্ঞতা বা সামাজিকীকরণের অভাবের কারণে হতে পারে। কুকুরের জাত অনুযায়ী তাদের আচরণে ভিন্নতা দেখা যায়। কিছু প্রজাতি বেশি আত্মবিশ্বাসী, প্রভাবশালী বা প্রতিরক্ষামূলক হতে পারে, আবার কিছু প্রজাতি বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ ও মিশুক হতে পারে।