আজকাল ওয়েবডেস্ক : সাপ। এই নামটি শুনলেই যেন দেহে এক অন্য অনুভূতি হয়। আর সামনে যদি হটাৎ সাপ এসে পড়ে তাহলে আমরা আগে থেকে সতর্ক হয়ে যাই। সেই সাপের বিষ হোক বা না হোক আমরা যেন আগে থেকে ভয় পেয়ে যাই।
বর্তমানের সাপগুলো পা-বিহীন হলেও তাদের পূর্বপুরুষদের কিন্তু পা ছিল। ফসিল এবং জিনগত গবেষণা থেকে জানা যায়, সাপেরা কয়েক মিলিয়ন বছর আগে টিকটিকির মতো সরীসৃপ থেকে বিবর্তিত হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের পা ছোট হতে হতে সম্পূর্ণভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়, যা তাদের মাটি খোঁড়া ও সরীসৃপের জীবনযাপনে মানিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।
তবে আধুনিক কিছু সাপ, যেমন পাইথন এবং বোয়া প্রজাতির সাপ, আজও তাদের দেহে পায়ের চিহ্ন বহন করে। এদের লেজের কাছাকাছি "স্পার" নামে ছোট ছোট অঙ্গ থাকে, যা তাদের হারিয়ে যাওয়া পায়ের অবশিষ্টাংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
এছাড়া, টেট্রাপোডোফিস নামে চার-পা বিশিষ্ট একটি সাপের ফসিল আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের সাপের বিবর্তন নিয়ে আরও নতুন ধারণা দিয়েছে। জিনগত গবেষণায়ও দেখা গেছে, সাপের দেহে পা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জিন এখনও রয়েছে, কিন্তু বিবর্তনের ফলে সেগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে।
পা-ওয়ালা সরীসৃপ থেকে পা-বিহীন শিকারিতে রূপান্তরিত হওয়ার এই বিবর্তন প্রকৃতির অসাধারণ অভিযোজন ক্ষমতার একটি চমৎকার উদাহরণ। এটি সরীসৃপ জীববিজ্ঞানের এক রহস্যময় অধ্যায়। তবে সাপ ধরে তাদের পায়ের ছবি তুলতে যাবেন না। তাহলেই কিন্তু সর্বনাশ হয়ে যাবে।
