আজকাল ওয়েবডেস্ক: উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তারস্বরে বাজছে সাউন্ড বক্স। হিন্দি গানের গগনভেদী বোল। প্রবল আওয়াজে সেখানে টেঁকা দায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসাবে উদ্ভট এই পথই বেছে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল ভিডিও-তে এমন প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে। যে দেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে, সেই দেশেই কীভাবে হিন্দি গান প্রতিবাদের হাতিয়ার হল তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, পড়ুয়াদের বিশাল সমাবেশ একটি রিকশার উপর বড় লাউড স্পিকার রয়েছে। স্পিকারে গান বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদী পড়ুয়ারা লাফিয়ে নাচতে থাকে। লাউড স্পিকারে তখন বাজছিল, হরিয়ানভি পারফর্মার তথা 'বিগ বস' প্রতিযোগী স্বপ্না চৌধুরীর হিট গান 'তেরি আখ্যা কা ইয়ো কাজল'। গানটি আরও জোরে চললে পড়ুয়ারা আরও উল্লাস ও চিৎকার শুরু করেন।
Man ????
— বাংলার ছেলে ???????? (@iSoumikSaheb)
Dhaka University VC Allegedly Didn't Take Action Vs Noise Pollution Near Female Hall, So Female Students Put Loudspeakers InfronT Of VC House ????
The Songs ???? pic.twitter.com/Gas7gaaAVoTweet by @iSoumikSaheb
কিন্তু কেন এই প্রতিবাদ? সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট অনুসারে, আবাসিক ছাত্রীরা হোস্টেলের কাছে মাইক বন্ধ করার আবেদন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। কিন্তু তাতে আমল দেওয়া হয়নি। তার প্রতিবাদে পড়ুয়ারা তারস্বরে মাইক বাজাচ্ছে। একটি প্রতিবাদী পোস্টের ক্যাপশনে লেখা আছে, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহিলা হলের কাছে শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে, তাই মহিলা শিক্ষার্থীরা ভিসির বাড়ির সামনে লাউডস্পিকার লাগিয়েছে।"
অনেকেই অভিনব এই প্রতিবাদে মুগ্ধ এবং বিস্মিত। একজন ভারতীয় নেজিজেন বলেছেন, "বাংলাদেশি ছাত্ররা প্রতিবাদ করার জন্য হরিয়ানভি গান বাজানো আমার বিঙ্গো কার্ডে ছিল না।" অন্য একজন লিখেছেন, "এটা প্রতিবাদের সবচেয়ে স্মার্ট উপায়।" আরেকজন নেটিজেন বলেন, "উপাচার্যের যাতে বিষয়টি সম্পূর্ণ বোধগম্য় হয় তাই পড়ুয়ারা এই ধরনের প্তিবাদ করেছে।" বোধগম্য হয়," তৃতীয় একজন ব্যবহারকারী কটাক্ষ করে।
অবশ্য প্রতিবাদে সুফল মিলেছে। প্রক্টর দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, সন্ধ্যা ৬টার পর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্পিকার বা মাইক ব্যবহার করা যাবে না। এরপরই প্রতিবাদী পড়ুয়ারা অবস্থান তুলে নেয়।
