আজকাল ওয়েবডেস্ক: পানশালায় হই-হুল্লোড়ের মাঝেই শৌচাগার থেকে আচমকা গায়েব হয়েছিলেন, একদিন কিংবা দু’ দিন নয়, পাঁচ দশকের বেশি সময় পর উদ্ধার হল দেহ। স্বাভাবিক ভাবেই দীর্ঘ পাঁচ দশক পরে, পুনরায় চর্চায় ওই ব্যক্তি।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ১৯৬৭ সালে ৫৪ বছর বয়সী আলফ্রেড স্যুইনসকো সেখানকার একটি পানশালায় গিয়েছিলেন তাঁর ছেলে গ্রের সঙ্গে। সেখান থেকেই গিয়েছিলেন পানশালার শৌচাগারে। দিনের আলোয় তারপর আচমকা গায়েব হয়ে যান তিনি।
স্বাভাবিক ভাবেই আচমকা এক ব্যক্তির অদৃশ্য হয়ে যাওয়া নিয়ে তুমুল চর্চা হয়। কেউ কেউ মনে করেন স্ত্রী-সন্তানদের ফেলে রেখে নিজেই কোথাও চলে গিয়েছেন ব্যক্তি। পরিবারের কেউ কেউ তাঁর অপেক্ষাতেই ছিলেন। অপেক্ষায় থেকে, কয়েকবছর আগে মৃত্যু হয় তাঁর সেদিনের সঙ্গী, ছেলে গ্রের।
আচমকা, ৫৭ বছর পর উদ্ধার সামনে এসেছে আলফ্রেডের প্রসং। তাঁর তৃতীয় প্রজন্ম, অর্থাৎ আলফ্রেডের নাতি, যে কেবল আচমকা হারিয়ে যাওয়ার গল্প শুনে বড় হয়েছে, সেও অবাক ঘটনায়।
আলফ্রেডের নাতি, রাসেল গতবছর আচমকা সমাজমাধ্যমে পুলিশের পক্ষও থেকে দেওয়া একটি পোস্ট দেখেন। সেখানে ছবি দেখেই চমকে ওঠেন তিনি। দেখেন, যে বিবরণ পুলিশ পোস্ট করেছে, তা্র প্রায় সব তথ্য মিলে যায় আলফ্রেডের সঙ্গে। পুলিশের পক্ষও থেকে জানানো হয়, শহরের প্রান্তে মাঠ থেকে উদ্ধার হয়েছিল দেহ, শরীরে আঘাত-ক্ষতের চিহ্ন স্পষ্ট। কোনও এক হত্যার সাক্ষী থাকার কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
