আজকাল ওয়েবডেস্ক: যদি আপনি বাড়ির শিশুদের সঙ্গে কার্টুন দেখতে ভালবাসেন তাহলে শিন চ্যানকে চিনে নিতে আপনার অসুবিধা হবে না। গোটা বিশ্বে শিন চ্যানকে নিয়ে শিশুদের আগ্রহ তুঙ্গে থাকে। তারা সারাদিনের নাওয়া খাওয়া ভুলে গিয়ে শিন চ্যান দেখতে থাকে। ঘরের টিভি থেকে শুরু করে মোবাইল সর্বত্রই রয়েছে শিন চ্যানের দাপাদাপি। তাই বিশ্বের কার্টুন সিরিজে নিজের আলাদা জায়গা করে নিয়েছে শিন চ্যান।

 


তবে এবারই চমক দেওয়ার পালা। শিন চ্যানের বাড়ির কথা সকলের নিশ্চয় মনে রয়েছে। নোহারা পরিবারের এই বাড়িটিতে থাকে শিন চ্যান তার বোন এবং বাবা মা। গোটা বাড়িটিতে থাকে একটি অন্য ধরণের আকর্ষণ। তবে কেউ বিশ্বাস করুক বা না করুক এই বাড়ি হুবহু তৈরি করে সকলকে চমকে দিয়েছে। ২১ বছরের এক যুবক নিজের বাড়ি একেবারে এই ধরণের তৈরি করেছে। এই বাড়ি তৈরি করতে তার খরচ পড়েছে ৩.৫ কোটি টাকা। 

 


কোথায় রয়েছে এই বাড়ি। চিনের মাটিতে রয়েছে শিন চ্যানের এই বাড়ি। সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যতম সেরা আকর্ষণ এই শিন চ্যানের বাড়ি। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছিল। অন্য বাড়ি তৈরি করতে যেসব সামগ্রী লাগে এখানেও সেগুলি ব্যবহার করা হয়েছে। যে যুবকের বাড়ি এটি তার নামও শিন। তাই নিজের নামের সঙ্গে সে কার্টুন চরিত্রের শিন চ্যানকে নিয়ে এসেছে। সে নিজেও এই কার্টুনের ফ্যান। 


শিনের পরিকল্পান অনুসারে এই বাড়ি তৈরিতে যত টাকা খরচ করার তার থেকে তিনি বেশি টাকা খরচ করেছেন। এরপর তিনি সেখানে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল খুলতে চান। যাতে এখানে এসে শিশুরা তাদের বাস্তবের শিন চ্যানের বাড়িকে দেখতে পান। এই বাড়ি ইতিমধ্যেই সেখানকার শিশুদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তারা দলে দলে এই বাড়ি দেখতে আসছে।  


১৯৯০ সালে শিন চ্যানের এই কার্টুন চরিত্রটি লিখেছিলেন ইয়োশিতো উসি। তবে বাজারে আসার পর থেকেই জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যায় শিন চ্যান। তবে এই কার্টুনের স্রস্টা নিয়ে ২০০৯ সালে মারা যান। তবে তার কাজ এখনও সকলকে মনে বিশেষত শিশু মনে জায়গা করে নিয়েছে। সেখানেই বেঁচে রয়েছে শিন চ্যান। টানা ৩২ বছর ধরে এই কার্টুন চরিত্র শিশুদের মনকে ভাল করেছে। তবে শিন চ্যানের বাড়িতে যেতে হলে আপনাকে চিনে যেতেই হবে।