তমালিকা বসু, লন্ডন 


তিনি বিশ্বকবি। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি আর শান্তিনিকেতন ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়েই পালিত হয় তাঁর জন্ম জয়ন্তী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৬ই মে নেহেরু সেন্টার, ভারতীয় হাই কমিশন, লন্ডন এবং দক্ষিণায়ন ইউকে-এর সহযোগিতায় উদযাপিত হল রবীন্দ্রজয়ন্তী।  অনুষ্ঠানে দক্ষিণায়ন ইউকে পরিবেশনা করে এক মনোমুগ্ধকর সঙ্গীতানুষ্ঠান। কে না জানে, রবি ঠাকুরের সঙ্গে পদ্মা নদীর গভীর যোগের কথা। সেকথা মাথায় রেখে পরিবেশিত হয়  'পদ্মা বোট এ রবি’। ডঃ আনন্দ গুপ্তের দক্ষ পরিচালনা, মৈনাক রায়ের ভাষ্যপাঠ ও নৃত্য টেলস-এর নৃত্য পরিবেশনায় এক অনন্য মাত্রা পায়।

দক্ষিণায়ন ইউকে-এর অধ্যক্ষ আনন্দ গুপ্ত বলেন, ‘কোন মন্ত্রে ঈশ্বরের সাধনা ও আরাধনা করতে হয় আমার জানা নেই, আমার কাছে কবির সৃষ্টিতে ডুবে থাকাই ঈশ্বরের আরাধনা। জীবনের কঠিন সময়ে কবির বাণী আমাকে মানসিক শান্তি দেয়, আমাকে সাহস যোগায়। যাঁর গানে প্রতিনিয়ত ফিরে আসা সত্যের আলোকে, শ্রদ্ধার্ঘ্য থাকুক তাঁরই গানে। রবীন্দ্র চর্চায় ও রবীন্দ্র চেতনায় উদযাপিত হোক প্রতিটি প্রাণ, আনন্দঘন হোক আমাদের প্রতিটি আগামী।‘


১০ই মে লন্ডনের হাউন্সলোর ল্যাম্পটন স্কুলে ‘আমাদের প্রয়াস’ আয়োজন করেছিল রবীন্দ্রজন্মজয়ন্তীর উদযাপন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গিকে জীবন্ত করে তুলেছিল নৃত্য-গীত পরিবেশনা। সঞ্চিতা ভট্টাচার্যের মনোমুগ্ধকর আবৃত্তি এবং শিশুদের কিছু চমৎকার পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে।