আজকাল ওয়েবডেস্ক: কিশোর স্বাস্থ্য ও সুস্থতা নিয়ে দ্বিতীয় Lancet Commission-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৪৬৪ মিলিয়ন কিশোর-কিশোরী অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতায় আক্রান্ত হবে। এই পরিস্থিতি জাতিসংঘের দীর্ঘ মেয়াদি উন্নয়ন লক্ষ্য (SDGs)-এর ২০৩০ সালের সময়সীমা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী প্রায় ১ বিলিয়ন কিশোর-কিশোরী এমন দেশে থাকবে, যেখানে এই বয়সের মানুষের জন্য জটিল এবং অতিরিক্ত রোগের বোঝা রয়েছে — যেমন এইচআইভি/এইডস, কিশোরী গর্ভাবস্থা, অনিরাপদ যৌনতা, বিষণ্নতা, অপুষ্টি ও দুর্ঘটনা।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ও আত্মহত্যার ফলে এই গোষ্ঠীর ৪২ মিলিয়ন স্বাস্থ্যকর জীবনের বছর (healthy life years) হারিয়ে যাবে।

ল্যানসেট রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি তিনজন কিশোরীর মধ্যে একজন হয় পড়াশোনা করবে না, নয়ত কর্মসংস্থানের বাইরে থাকবে।

আবহাওয়া পরিবর্তন ও যুদ্ধও হতে চলেছে ভবিষ্যতের প্রধান হুমকি। ২১০০ সালের মধ্যে ১.৮ বিলিয়ন কিশোর-কিশোরী এমন এক পৃথিবীতে থাকবে, যার গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ২.৮°C বেশি হবে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, যদিও মদ ও তামাকের ব্যবহার কিছুটা কমেছে, তবুও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে চিনি-মেশানো পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও ই-সিগারেটের সহজলভ্যতা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি।

আঞ্চলিকভাবে, দক্ষিণ এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকায় অগ্রগতি হলেও, এখনো রোগের বোঝা অনেক বেশি।

অর্থ সংকটকেও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয়েছে। ২০১৬–২১ সালের মধ্যে কিশোর স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ২.৪% বিশ্ব স্বাস্থ্য উন্নয়ন তহবিলের। অথচ বিশ্ব জনসংখ্যার ২৫.২% এই বয়সভিত্তিক গোষ্ঠী।

রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাড়ানো, লিঙ্গভিত্তিক হিংসা প্রতিরোধ এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় সর্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার।