আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশ। গত কয়েকদিন ধরে, নতুন করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় দেশজুড়ে। কেবল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ নয়, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, আগুনে পুড়িয়ে মারার মতো নারকীয়, ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। জ্বলেছে প্রথম আলো, দ্য ডেলি স্টারের অফিস। ভাঙা হয়েছে মুজিবের  বাড়ি, ছায়ানট। বাদ পড়েনি উদীচীও। এসবের মাঝেই সামনে এসেছে আরও এক ভয়াবহ তথ্য। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বাইরে থেকে দরজায় তালা বন্ধ করে, লক্ষ্মীপুরে বেলাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘুমের মধ্যেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে বেলাল হোসেনের মেয়ে আয়েশা আক্তারের। বয়স সাত।


বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম 'প্রথম আলো' সূত্রে খবর, বেলাল হোসেন, বিএনপি নেতা। লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। এছাড়াও তিনি ব্যবসায়ী বলে জানা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার রাতে বেলালের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে। তাতেই ঘুমের মাঝে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে আয়েশার। বেলাল হোসেন (৫০) ও তাঁর দুই মেয়ে বীথি আক্তার (১৭) ও স্মৃতি আক্তার (১৪) গুরুতর জখম। চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। দু'জনেই ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গিয়েছে বলে তথ্য।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত দু'টোর দিকে, বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে, পেট্রোল ঢেলে ওই নেতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। 

বাংলাদেশে হাদি মৃত্যুর পর, ফের উত্তাল হয় পরিস্থিতি। ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ হন  ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। শারীরিক অবস্থার বিচারে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। অন্যদিকে হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল পদ্মাপারে। বৃহস্পতিবার মৃত্যু সংবাদ আসতেই তা ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। বৃহস্পতিবার রাতভর তাণ্ডব চলে ঢাকা-সহ দেশের একাধিক জায়গায়। হামলা চালানো হয়েছে সংবাদ  মাধ্যমে। জ্বলে খাক হয়ে গিয়েছিল 'প্রথম আলো'র অফিস। বাংলাদেশেই ২৫ বছরের হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসের মৃত্যু হয়েছে গণপিটুনিতে।  তা নিয়ে নিন্দার ঢেউ দেশে বিদেশে।

 

যদিও চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মাঝে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে সে দেশের অন্তবর্তী সরকার বিবৃতি জারি করেছিল। শুক্রবার জারি করা এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এই গণপিটুনির নিন্দা করেছে। এই ঘৃণ্য কাজর বাংলাদেশ সরকার বরদাস্ত  করবে না বলেও জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের হিংসার কোনও স্থান নেই। এই জঘন্য অপরাধের হোতাদের রেহাই দেওয়া হবে না।" বৃহস্পতির পরে, শুক্রবারেও পরিস্থিতি উত্তাল ছিল পদ্মাপারে। তারমাঝেই  শনিবার রাতে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে সে দেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে।