আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তাল বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত। গত ৫ দিন টানা দেশ জুড়ে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। মঙ্গলবার রাত থেকে দুটি জায়গায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু হয়েছে। কিছুটা শিথিল হলেও এখনও সে দেশে বহাল কারফিউ।

তবে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলির সূত্রে বেশকিছু তথ্য উঠে আসছে সে দেশের পরিস্থিতি সংক্রান্ত। জানা গিয়েছে, দেশের উত্তাল পরিস্থিতি-সংঘর্ষ বিচারে বাংলাদেশিদের সাময়িকভাবে ভিসা দেওয়া বন্ধ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যদিও এই নিয়ম কাদের জন্য, কতদিন পর্যন্ত বহাল থাকবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি এখনও। তবে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বিক্ষোভের আঁচ পৌঁছেছিল সেদেশেও। প্রবাসী বাংলাদেশিরা সে দেশে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রথম সারির এক সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। 


মঙ্গলবার রাত থেকে দেশের দুই জায়গায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন ছিল, সমগ্র দেশজুড়ে কবে ইন্টারনেট চালু হবে? তব বুধবারও সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য দিত পারেনি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা-সহ একাধিক জায়গায় চলছে গ্রেপ্তারি। একটি সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত তিনদিনে বাংলাদেশ পুলিশ অন্তত আড়াই হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অন্তত ২ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর সূত্রের। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নাশকতার।

 বিক্ষোভ চলাকালীন বাংলাদেশের নরসিংদী কারাগারে হামলা চালিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ ছিল, সেই সময় বহু কয়েদি কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। জানা গিয়েছে কয়েদিরা দিনে দিনে কারাগারে ফিরে আসছে আত্মসমর্পণের জন্য। কারফিউ জারি থাকলেও, বুধবার থেকে খুলে গিয়েছে অফিস-কাছারি। সে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বলছে, প্রবল বিক্ষোভ, সংঘর্ষের পর দিনে দিবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি কবে থেকে খুলবে? সে প্রসঙ্গে বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, সে দেশের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও সম্পূর্ন স্বাভাবিক নয় পরিস্থিতি। পরিস্থিতি আর একটু স্বাভাবিক হলে আগে এইচএসসি এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাগুলি সম্পন্ন হবে। পরে খুলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি।