আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের পর স্ত্রীর বোনের প্রেমে পড়েছিলেন জামাইবাবু। দিন কয়েক পরেই তাঁকেই বিয়ের প্রস্তাব দেন। জামাইবাবুর বিয়ের প্রস্তাবে তরুণী রাজি না হওয়ায় চরম পদক্ষেপ করলেন তিনি। তরুণীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করলেন যুবক। ধর্ষণের ঘটনায় তিনি একা জড়িত নন। তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় জড়িত জামাইবাবুর বন্ধুরাও।
নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের ভদোদরায়। সিনোর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তরুণী। অভিযুক্তরা ওই গ্রাম এবং সংলগ্ন এলাকারই বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, দিন কয়েক ধরেই তরুণী নিখোঁজ ছিলেন। সম্প্রতি ওই গ্রামেরই এক ঝোঁপ থেকে তাঁর অর্ধনগ্ন, নিথর দেহ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছিল পুলিশ। রিপোর্টে ধর্ষণের ঘটনাটি ধরা পড়ে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে একজন তাঁর জামাইবাবু। বাকিরা জামাইবাবুর বন্ধু। তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এমনকী বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাতে তরুণী রাজি ছিলেন না। এর জেরেই পরিকল্পনামাফিক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, তরুণীকে অপহরণ করে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তরুণীর শ্লীলতাহানি করেন তাঁরা। একে একে চারজনে মিলে ধর্ষণ করেন। তরুণী পালাতে গেলে একটি ঝোঁপের মধ্যে তাঁকে টেনে নিয়ে যান। সেখানে গিয়েও ধর্ষণ করেন। এরপর গলায় ওড়না জড়িয়ে, ফাঁস দিয়ে তাঁকে খুন করে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। তাঁদের গ্রেপ্তার করে তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।
