আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তি হাতানোর ছক। শ্বশুর, ভাসুরের সঙ্গে একযোগে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিল গৃহবধূ। তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। 'পথের কাঁটা' ছিলেন শাশুড়ি। শেষমেশ তাঁকে খুন করাল বধূ। তদন্তে নেমে শিউরে উঠেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ জুন। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে ৬০ বছরের সুশীলা দেবীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে সকলেই ভেবেছিলেন, বাড়িতে চুরি করতে ঢুকে, বৃদ্ধাকে খুন করে চোর পালিয়েছে। কিন্তু সেদিন থেকেই সুশীলার গৃহবধূ পূজা যাতব নিখোঁজ ছিল। তখনই পুলিশের সন্দেহ হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পূজার পরিকল্পনা ছিল সুশীলার ১৮ বিঘা জমি বিক্রি করে গোয়ালিয়রে স্থায়ীভাবে থাকবেন। ওই ১৮ বিঘা জমি তাঁর মৃত স্বামীর নামে লেখা ছিল। সেই জমির ভাগ পূজাকে দিতে চেয়েছিলেন তার শ্বশুর ও ভাসুর। শুধুমাত্র সুশীলার আপত্তি ছিল। এই জমি হাতানোর জন্যেই 'পথের কাঁটা' শাশুড়িকে খুনের পরিকল্পনা করে পূজা। এর জন্য বোন ও বোনের স্বামীর সাহায্য নেয় সে।
২৪ জুন রাতে ১২৫ কিমি পথ অতিক্রম করে ঝাঁসিতে সুশীলার বাড়িতে পৌঁছয় পূজার বোন ও তার স্বামী। ফাঁকা বাড়িতে সুশীলাকে বিষ খাইয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করে তারা। এরপর ঘর থেকে আট লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না চুরি করে পালিয়ে যায়। দিন কয়েক পরেই পূজা, তার বোন ও স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস হয়। পুলিশ জানতে পারে, এর আগে পূজা একাধিক বিয়ে, লিভ ইন সম্পর্ক এবং ক্রিমিনাল কেসে জড়িত ছিল। প্রথম বিয়ে ভাঙার সময়েই দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে আলাপ হয় পূজার। দ্বিতীয় স্বামী পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর দ্বিতীয় স্বামীর দাদার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরিবারে অশান্তি করে ভাসুরের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্ক শুরু করে।
কিন্তু স্বামীর সম্পত্তি পাওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিল সে। তখন শ্বশুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে পূজার। দু'জনকে একাধিকবার অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলেন পরিবারের সদস্যরা। এদিকে ভাসুরের সঙ্গেও পূজার সম্পর্কের অবনতি হয়। দুই তরফে সমস্যা হতেই, শাশুড়িকে খুন করে সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা করে সে। শাশুড়িকে খুন করেও শেষরক্ষা হল না। খুনের দিন কয়েকের মধ্যে পুলিশের তদন্তে চমকে গেছেন স্থানীয়রা।
