আজকাল ওয়েবডেস্ক: দাঁতের যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন। সহ্য করতে না পেরে ছুটে যান এক ওষুধের দোকানে। সেখানকার দোকানদারের কাছে দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর ওষুধ চান। দোকানদারের পরামর্শে ওষুধ কিনেই বাড়িতে এসে খেয়েছিলেন। তাতেই ঘটল বিপত্তি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন ৩২ বছরের এক যুবতী।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবতীর নাম রেখা। তিনি ধর্মপুরী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির অদূরের এক ওষুধের দোকানে গিয়ে দাঁতের ব্যথা কমানোর ওষুধ চেয়েছিলেন। দোকানদার যে ওষুধ দেন, তাই নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। রাতে সেই ওষুধ খেয়েছিলেন রেখা। এরপরই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
তড়িঘড়ি করে রেখাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গেছে, সালফাস ট্যাবলেট খেয়েছিলেন রেখা। দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য পেইনকিলারের বদলে তাঁকে সালফাস ট্যাবলেট দিয়েছিলেন ওই দোকানদার।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ওষুধের দোকানের মালিক ৫২ বছরের লোকেন্দ্র বাবেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ওই দোকানদারের খোঁজেও তল্লাশি অভিযান চলছে। ওষুধের দোকানে কেন সালফাস ট্যাবলেট মজুত ছিল তাও খতিয়ে দেখছে ড্রাগ কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্ট।
