আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি এক যুবতীকে কয়েক কোটি টাকার কোকেন পাচারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর অনুযায়ী, দোহা থেকে আসছিলেন ওই যুবতী৷ মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৬২.৬ কোটি টাকার কোকেন পাচার করছিলেন। সন্দেহ করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যুবতীকে। মঙ্গলবার মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিআরআই) তাকে আটক করে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর ছিল৷ তারা একটি গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিলেন। ১৪ জুলাই দোহা থেকে মুম্বাই আসা এক যুবতী দেশে মাদক পাচার করবেন। এরপর ডিআরআই মুম্বাইয়ের কর্মকর্তারা তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ জুলাই মুম্বাই বিমানবন্দরে যাত্রীটিকে আটক করেন।
সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবতী ওরিও বিস্কুটের ছয়টি বড় বাক্স এবং তিনটি চকলেটে মাদক পাচার করছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা যুবতীর থেকে একাধিক ওরিও বিস্কুটের বড় বাক্স এবং প্রায় তিন চারটে চকলেট খুঁজে পান। এগুলি খোলার পর, নয়টি বাক্সেই সাদা পাউডার জাতীয় পদার্থ ভর্তি ক্যাপসুল পায় তারা। প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তারা কোকেন বলে মনে করেন এটিকে। ডিআরআই তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, মোট ৩০০টি ক্যাপসুল উদ্ধার করা হয়েছে।
খবর পাওয়া গিয়েছে, ফিল্ড টেস্ট কিট ব্যবহার করে সমস্ত ক্যাপসুল পৃথকভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষার পর কোকেন হিসেবে ইতিবাচক ফলাফল দেখিয়েছে ক্যাপসুলগুলি। যুবতীর ব্যাগে পাওয়া মোট কোকেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৬২৬১ গ্রাম। এই পরিমান কোকেনের মূল্য অবৈধ বাজারে আনুমানিক ৬২.৬ কোটি টাকা।
পুলিশ ওই যুবতীকে গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে পুরো ঘটনার আরও তদন্ত চলছে। এর আগে ২২ জুন, ডিআরআই মুম্বাই সিয়েরা লিওন থেকে মুম্বাই বিমানবন্দরে আগত এক যুবক যাত্রীর কাছ থেকে ১,১৩৯ গ্রাম কোকেন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ খবর অনুযায়ী তার মূল্য আন্তর্জাতিক অবৈধ বাজারে আনুমানিক ১১.৩৯ কোটি টাকা।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ডিআরআই মুম্বাই জিজ্ঞাসাবাদের পর যুবতী স্বীকার করেছেন যে তিনি ভারতে পাচারের জন্য মাদকদ্রব্যযুক্ত ক্যাপসুল খেয়েছিলেন। এরপর তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটবর্তী একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুনঃ মাত্র চার বছরের শিশুকে নিয়ে মাদক কিনতে গিয়েছিল! হায়দ্রাবাদের দম্পতির কাহিনি শুনলে চমকে যাবেন
চলতি মাসের ২০ জুন, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, ডিআরআই মুম্বাই বাসে দিল্লি থেকে মুম্বাইতে মাদকদ্রব্য পরিবহন করছিলেন এক নাইজেরিয়ান যুবতী৷ সন্দেহের জেরে যুবতীকে আটক করে পুলিশ। জানা গিয়েছে গভীর রাতে পরিচালিত এই অভিযানে ৫০ কিলোমিটার নজরদারি চালানো হয়। পরে যুবতীকে থামানো হয়। তার লাগেজ তল্লাশি করা হয়।
চলতি মাসে হায়দ্রাবাদে একটি গাঁজা বিতরণ নেটওয়ার্কের অভিযান চালান হয়৷ নতুন চালু হওয়া এলিট অ্যাকশন গ্রুপ ফর ড্রাগ ল এনফোর্সমেন্ট (EAGLE) এই অভিযানটি চালায় । খবর অনুযায়ী, ১৪ জনকে গাঁজা কিনতে আটক করতে সক্ষম হয়। এহেন অবস্থায় আশ্চর্যজনকভাবে এক দম্পতি তাঁদের ৪ বছরের শিশুকে নিয়ে মাদক কিনতে এসে ধরা পড়ে। খবর জানাজানি হতে চারিদিকে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়৷
ইএজিএলই অফিসাররা এখন আইটি হাবকে মাদকমুক্ত রাখতে লক্ষ্যবস্তু অভিযান চালাচ্ছে। একই সঙ্গে কড়া নজরদারি চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। বর্তমানে পুলিশ কর্মকর্তারা মাদক ও গাঁজা প্রতিরোধের জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন। প্রত্যেক অভিভাবকদের তাঁদের সন্তানদের কার্যকলাপের দিকে নজর রাখতে বলেছেন।
