আজকাল ওয়েবডেস্ক: লাভ অ্যায় ফার্স্ট সাইট। শব্দ দ্বয় বহুল প্রচলিত। কিন্তু যুবতী যেভাবে এই শব্দ দ্বয়ের পরিস্থিতিতে পড়লেন, তাতে উদ্ধার হতে পুলিশকে পৌঁছতে হল ঘটনাস্থলে মাঝরাত্তিরে।
অ্যাপ ক্যাব বুক করেছিলেন। কিন্তু মাঝপথেই যা ঘটল যুবতীর সঙ্গে। হায়দরাবাদের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য। যুবতী সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। তাতেই হইচই। কী লিখেছেন ওই যুবতী পোস্টে? লিখেছেন, কীভাবে নিয়মিত ক্যাব ভ্রমণ তাঁর জন্য একদিন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। X-তে শেয়ার করা পোস্টে, কী ঘটেছিল সেদিন, তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন যুবতী।
https://x.com/farzlicioustahe?ref_src=twsrc
জানিয়েছেন, তিনি বন্ধুর জন্মদিন উদযাপন করতে বানজারা হিলস রোড নং ২-এ গিয়েছিলেন। সেখানে পার্টির পর, তিনি মানিকোন্ডায় তার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য একটি ক্যাব বুক করেছিলেন। কিন্তু বিপত্তি শুরুতেই। তিনি জানিয়েছেন, আচমকা চালক জিজ্ঞাসা করেন ধর্ম নিয়ে। সোজা জিজ্ঞাসা করে বসেন, 'তুমি কি মুসলিম?' তবে ধর্ম জিজ্ঞাসা করেই ক্ষান্ত হননি। এখানেই শেষ নয়, বরং যুবতী সোশ্যাল মিডিয়ায় যা জানিয়েছেন, তাতে যেন, সেখানেই উদ্বেগের সূত্রপাত।
যুবতী মুসলিম জানার পরেই, নিজের বক্তব্য পেশ করেন ওই চালক যুবক। সোজা জানান, 'তুমি সুন্দরী'। কিছুটা অপ্রস্তুত হলেও, অল্প হেসে ঘাড় নেড়েছিলেন। ফোনে নাকি নিজের কিছুক্ষণ আগেই হইহুল্লোড়ের ছবি দেখছিলেন। আচমাক লক্ষ্য করেন, চেনা রাস্তার পরিবর্তে গাড়ি যাচ্ছে অন্য রাস্তায়। প্রথমে ভাবেন, শটকার্ট, তাড়াতাড়ি পৌঁছনো যাবে ভেবেছিলেন। তাই কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাননি। কিন্তু ছন্দপতন কিছুক্ষণেই।
যুবতী জানিয়েছেন, আচমকা রাস্তা বদল করেই, হঠাৎ চালক বলে ওঠেন, 'ম্যাডাম, আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই।' মহিলাটি হতবাক হয়ে যান এবং তিনি তখনও বলতেই থাকেন, 'আমি আপনাকে খুব পছন্দ করি...।' শুধু এটুকুই নয়। যুবতীর চোখে-মুখে উদ্বেগ দেখে তিনি জানান, ওই এলাকা যুবকের চেনা। তাঁরই এলাকা মূলত। তাই যুবতী চাইলেও সেখান থেকে ফিরতে পারবেন না।
উন্নত টেকনোলজির যুগে, ওই পরিস্থিতি থেকে কোনও রকমে তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেন যুবতী। জানিয়েছেন, গাড়িতে বসেই, মুহূর্তে তিনি নিজের বন্ধুদের সঙ্গে গাড়ির লাইভ লোকেশন শেয়ার করেন। যুবতী জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু সংবাদমাধ্যমে কর্মরত। তিনি অফিসে খবর দেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই, পুলিশ গাড়িটি ট্র্যাক করে, রুট ট্র্যাক করে সেখানে পৌঁছয়। গাড়ী থেকে যুবতীকে উদ্ধার করে।
মহিলা তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন, তদন্তের সময়, চালককে শাইখ মুজ্জাহিদ বলে জানতে পেরেছেন। জানা গিয়েছে, তিনি মূলত বার্মার বাসিন্দা এবং গত ছয় বছর ধরে হায়দরাবাদে বসবাস করছেন।
